জলপাইগুড়ির আনন্দচন্দ্র কলেজে বড় দলবদলের ঘটনা ঘটল বৃহস্পতিবার। এ দিন ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক, সদস্য-সহ ছাত্র পরিষদের ২৩০ জন সমর্থক তৃণমূল ছাত্র পরিষদে যোগ দিয়েছেন। এই ঘটনার পরে, ছাত্র পরিষদের জেলা কমিটির অনেকেই উদ্বিগ্ন। তবে আনন্দচন্দ্র (কমার্স) কলেজের ছাত্র সংসদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দখল করেছে ছাত্র পরিষদ। ছাত্র পরিষদের নেতারা জানান, ওই কলেজে নতুন ইউনিট গড়ে শূন্য থেকে সাংগঠনিক কাজ শুরু করতে হবে।
এ দিন স্টেশন রোডের পাশে যুব তৃণমূল দফতরের সামনে ঘাস ফুলের প্রতীক দেওয়া পতাকা হাতে তুলে নেওয়ার আগে ছাত্র পরিষদ নিয়ন্ত্রিত ছাত্র সংসদ সদস্যদের একাংশকে কাঁদতে দেখা যায়। সংগঠন পরিবর্তনের কথা ঘোষণার পরে তাঁদের অনেকে কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানান। ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক রাজীব রায় বলেন, “মঙ্গলবারের ঘটনার পরে কংগ্রেস নেতৃত্বের উপরে আস্থা রাখতে পারিনি। তাই সংসদের ১৮ জন প্রতিনিধি সহ ২৩০ জন ছাত্র পরিষদ কর্মী সমর্থক তৃণমূল ছাত্র পরিষদে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।” ছাত্র পরিষদের কলেজ ইউনিট ইনচার্জ রানা রায়, ছাত্র সংসদের সহসম্পাদক ভাস্কর নন্দী, সংস্কৃতি দফতর সম্পাদক পৃথ্বীরাজ সিংহ সহ আরও অনেকে এদিন ঘাস ফুলের পতাকা হাতে তুলে নেন। জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত মিত্র দাবি করেন, “সরকারের কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে কলেজের ছাত্র পরিষদ নেতা-কর্মীরা তৃণমূল ছাত্র পরিষদে যোগ দিয়েছেন।”
যুব তৃণমূল সভাপতির ওই দাবি অবশ্য ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন জেলা ছাত্র ও যুব কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক শুভেন্দু বসু। তাঁর অভিযোগ, “মঙ্গলবার তৃণমূলের ছেলেরা গোলমাল পাকিয়ে আমাদের ছেলেদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেয়নি। তৃণমূল ছাত্র ও যুব নেতারা পুলিশকে ব্যবহার করে ভাঙচুরের ঘটনায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে ছাত্র পরিষদ কর্মীদের সংগঠন পাল্টাতে বাধ্য করছে।” জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি অরিন্দম ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা রাজনৈতিক ভাবে লড়াই করছি। দেউলিয়া ছাত্র পরিষদে কেউ থাকতে চাইছে না।” এ দিন আনন্দচন্দ্র (কমার্স) কলেজ সংসদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দখল করে ছাত্র পরিষদ। একই ভাবে ময়নাগুড়ি ও মালবাজার কলেজ সংসদ দখল করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় আনন্দচন্দ্র কলেজের পাঁচটি আসনও তাঁদের দখলে গিয়েছে। |