অটোকে শৃঙ্খলায় বাঁধতে ফের কমিটি গড়ল রাজ্য সরকার। পরিবহণ দফতরের সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও কলকাতা পুলিশের বিশেষ কমিশনার (২) সোমেন মিত্রকে নিয়ে দুই সদস্যের ওই কমিটি তৈরি করা হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে ওই কমিটিকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। বৃহস্পতিবার ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রের এক হাজার ‘নো রিফিউজাল’ ট্যাক্সির পারমিট বিলির অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন পরিবহণমন্ত্রী নিজেই।
পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, গত কয়েক মাস ধরে অটোর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আসছিল পরিবহণ দফতরে। বেশ কিছু জায়গায় অটোচালকেরা ‘বেপরোয়া’ আচরণ করছেন, ইচ্ছেমতো রুট ভেঙে অটো চালাচ্ছেন বলেও অভিযোগ। সেই সব সমস্যা মিটিয়ে অটোকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করতেই এই কমিটি গড়া হয়েছে বলে পরিবহণ কর্তাদের দাবি। তবে এই কমিটি কোনও অবস্থাতেই অটোর ভাড়া ঠিক করবে না এবং ভাড়া নিয়ে কোনও রকম প্রস্তাব দেবে না বলে জানান পরিবহণ দফতরের কর্তারা।
২০১২ সালে অটোকে শৃঙ্খলায় বাঁধতে তদানীন্তন পরিবহণ দফতরের যুগ্ম সম্পাদক আশিস ঠাকুরের নেতৃত্বে একটি কমিটি গড়া হয়েছিল। সেই কমিটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রিপোর্টও জমা দেয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই কমিটির রিপোর্ট প্রকাশই করেনি সরকার। রাজ্য পরিবহণ দফতরের এক কর্তা বলেন, “দুই সদস্যের এই কমিটি তার রিপোর্ট তৈরির আগে আগের কমিটির রিপোর্টও পড়ে দেখবে।” ওই কর্তা বলেন, “গত কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন অটো ইউনিয়নের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। সেখানে অটোর বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে যেমন আলোচনা হয়েছে, তেমনই প্রশাসনের বিরুদ্ধে অটোচালকদের বিভিন্ন অভিযোগও সামনে এসেছে। সব কিছুই খতিয়ে দেখবে ওই কমিটি।” মূলত অটোর রুট কী হবে, কাটা-রুট কী ভাবে বন্ধ করা যায়, অটোচালকদের বিভিন্ন অভিযোগ খতিয়ে দেখবে এই কমিটি।
এ দিন পরিবহণ দফতরের তরফে এক হাজার ট্যাক্সিমালিকের হাতে পারমিট তুলে দেন পরিবহণমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, শহরে পরিবহণ ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে রাজ্য সরকার ছোট বাস এবং ছোট গাড়ি নামানোর পরিকল্পনা করেছে। খুব শীঘ্রই তা বাস্তবায়িত করবে সরকার। |