|
|
|
|
তিন বছর ধরে বন্ধ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোরো |
চালু হওয়ার পরের দিনই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। তারপর সাড়ে তিন বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও এখনও চালু হল না সেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। ফলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে দেওয়া পুষ্টিকর খাবার থেকে বঞ্চিত এলাকার দুঃস্থ পরিবারের শিশু ও প্রসূতিরা।
বোরো থানার গোবরাডি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি ২০১০ সালের এপ্রিল মাসে অনুমোদন পায়। কিন্তু সহায়িকা নিয়োগকে কেন্দ্র করে গোড়া থেকে জটিলতা দেখা দেয়। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্মী ও সহায়িকা পদের জন্য সেই সময় মোট ১৯ জন পরীক্ষা দেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই গোবরাডি গ্রামের ছিলেন। কিন্তু ওই গ্রামের কেউ মনোনীত হননি। বাসিন্দাদের একাংশ দাবি করেছিলেন ওই গ্রাম থেকেই কাউকে সহায়িকা পদে কাজ দেওয়া হোক। তা হয়নি। ক্ষোভ ছড়ানোয় কেন্দ্রটি খোলার পরের দিনই বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এতদিনেও জটিলতা কাটিয়ে প্রশাসন ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র কেন চালু করতে পারেনি, তা নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে এলাকায়। গ্রামের বাসিন্দা শরৎ মাহাতো, অজিত মাঝি, প্রতিমা মাহাতো বলেন, “অনুমোদন মিললেও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চালু না হওয়ায় গ্রামের মা ও শিশুরা খাবার পাচ্ছে না। অথচ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা নিয়মিত পারিশ্রমিক পেয়ে যাচ্ছেন।” ওই কর্মীরা আবার কেন্দ্রে গেলে তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
মানবাজার ২ ব্লকের শিশু বিকাশ প্রকল্প আধিকারিক অশোক মণ্ডল বলেন, “আমি এই পদে যোগ দেওয়ার আগে থেকেই এই সমস্যা রয়েছে। বিডিও ও স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের নিয়ে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করেছি। আবার সবাইকে নিয়ে বসব।” সমস্যার কথা শুনে ওই প্রকল্পের জেলা প্রকল্প আধিকারিক নীলিমা দাস বলেন, “কেন্দ্র থাকা সত্ত্বেও মা ও শিশুরা খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এমনটা চলতে দেওয়া যায় না।” তাঁর আশ্বাস, “ওই গ্রামে গিয়ে জট ছাড়িয়ে কেন্দ্রটি চালুর ব্যবস্থা করব।” |
|
|
|
|
|