ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল এক যুবককে। সেই যুবকের মা ও ভাই মেয়েটিকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিষ খান হাবরার রবীন্দ্রপল্লির বাসিন্দা বছর কুড়ির ওই তরুণী। পরিবারের দাবি, ক্রমাগত হুমকির জেরেই আতঙ্কে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন তিনি। মধ্যমগ্রামের গণধর্ষিতা কিশোরীকেও ধর্ষকেরা ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছিল। শেষমেশ আগুনে পুড়ে মারা গিয়েছে মেয়েটি। খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। হাবরার মেয়েটির অবশ্য চিকিৎসা চলছে বারাসত জেলা হাসপাতালে। অভিযুক্ত দু’জনকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ২০১৩ সালের ২৫ জুনের। অভিযোগ, ওই দিন তরুণীকে বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে সঞ্জয় ব্যাপারি নামে স্থানীয় এক যুবক। মেয়েটির ভাই বাধা দিতে গেলে তাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপায়। পরে এলাকার লোকজনের হাতে ধরা পড়ে সঞ্জয়। গ্রেফতার করা হয় তাকে। ওই ঘটনার আগেও বছর ছ’য়েকের এক নাবালিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে।
কিছু দিন আগে জামিনে ছাড়া পেয়ে এলাকায় ফিরেছে সঞ্জয়। তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, তার পর থেকে সঞ্জয়ের মা শ্যামলী ও ভাই বাপি নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছিল মেয়েকে। মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিচ্ছিল।
তরুণীর মায়ের দাবি, দীর্ঘ দিন মানসিক অবসাদে ভোগার পরে ইদানীং স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছিল মেয়ে। ফের পড়াশোনাও শুরু করেছিল। কিন্তু সঞ্জয়ের মা-ভাইয়ের চাপে ফের আতঙ্কে ভুগছিল। মেয়েটির পরিবার পুলিশকে জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাইরে থেকে বিষ কিনে এনে খায় মেয়েটি। তাঁকে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। |