অ-চিরাচরিত সোলার বিদ্যুৎ পরিষেবা দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। ফলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা ব্লকের মৌসুনি পঞ্চায়েতের বাগডাঙা ও বালিয়াড়া এলাকা সন্ধ্যা নামলেই অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে। সমস্যাটি নিয়ে বাসিন্দারা একাধিকবার বিভাগীয় দফতরে জানালেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ।
মৌসুনি পঞ্চায়েতটি বঙ্গোপাসাগর ও চিনাই নদী এবং জঙ্গলে ঘেরা। বর্তমানে জনসংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার। এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। এলাকার মানুষের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে ২০০১ সালে রাজ্য সরকার অ-চিরাচরিত শক্তি দফতরের দুটি সোলার বিদ্যুৎ প্রকল্প চালু করে। একটি বাগডাঙা বাজারের কাছে এবং অন্যটি বালিয়াড়া বাজারে। বাগডাঙার প্রকল্প থেকে ৫০ কিলো মেগাওয়াট উৎপাদিত বিদ্যুৎ সরবরাহ হত প্রায় ৩০০ বাড়ি ও দোকানে। বালিয়াড়া প্রকল্প থেকে উৎপাদিত ১০০ কিলো মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ২০০টি দোকান ও বাড়িতে সরবরাহ করা হত। পরিবারের পয়েন্ট পিছু খরচ হত ২৫-৩০ টাকা। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ব্যাটারির যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে ওই দুটি প্রকল্পের পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। ফলে সন্ধ্যা নামলেই গোটা এলাকা অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে। |
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আলো না থাকায় ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করতে সমস্যা হচ্ছে। বাগডাঙা গ্রামের বাসিন্দা প্রভাত মণ্ডল, রমেন জানা বলেন, “নদীনালা ঘেরা এই দ্বীপে বিদ্যুৎ সংযোগ কবে পাব জানি না। যদিও বা সোলার বিদ্যুৎ চালু হল, তাও বন্ধ হয়ে গেল। এলাকার ৯৫ শতাংশ মানুষ চাষের কাজ করেন। ছেলেমেয়েদের রাতে পড়াশোনার জন্য কেরোসিন কেনার পয়সা নেই অনেকের। সোলার বিদ্যুৎ প্রকল্প দু’টি চালু করার জন্য সবাই মিলে সই করে আবেদন করলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
মৌসুনি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান প্রতিমা কয়াল বলেন, “সোলার প্রকল্প দুটি চালু করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরকে বলা হয়েছে।” অ-চিরাচরিত শক্তি দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই দ্বীপে সাধারণ বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে একটা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। সেই কারণেই সোলার বিদ্যুৎ প্রকল্প দুটি বন্ধ হয়েছিল। তবে ফের সরকারি নির্দেশ এসেছে ওই প্রকল্প দুটি চালু করার জন্য। চলতি মাসেই সোলার বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। |