জাতীয় টেবল টেনিসে দলগত বিভাগে রুপো জিতলেন উত্তরবঙ্গের মেয়েরা। বৃহস্পতিবার পটনায় ফাইনালে তাঁরা পেট্রোলিয়াম স্পোর্টস প্রমোশন বোর্ডের কাছে ৩-০ ম্যাচে হেরে যান। এ দিন হেরে তাই দলগত বিভাগে রুপো নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে নন্দিতা সাহা, সাগরিকা মুখোপাধ্যায়দের। কোয়ার্টার ফাইনালে তাঁরা দিল্লিকে ৩-১ গেমে হারিয়েছিলেন। সেমিফাইনালে রাজ্য টেবল টেনিস সংস্থার খেলোয়াড় পৌলমী ঘটক, মৌমা দাসদের হারিয়ে ফাইনালে ওঠায় পর তাদের নিয়ে আশার আলো দেখেছিলেন উত্তরবঙ্গের টেবল টেনিস মহল। নর্থ বেঙ্গল টেবল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তথা টেবল টেনিস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার অন্যতম কর্মকর্তা মান্তু ঘোষ বলেন, “হেরে গেলেও ভাল খেলেই নন্দিতারা ফাইনালে উঠেছে। এটা মনে রাখতে হবে।”
এ দিন ফাইনালে নন্দিতা প্রথম ম্যাচে মাধুরিকা পাঠকরের কাছে ৩-২ গেমে হেরে যান। লড়াই করেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি নন্দিতা। দ্বিতীয় ম্যাচে সাগরিকাকেও ৩-২ গেমে হারতে হয় কে স্বামীনির কাছে। নন্দিতা এবং সাগরিকা দু’জনেই নির্ণায়ক গেমে হেরে যেতেই সুবিধাজনক জায়গায় চলে যায় পিএসপিবি। তাতে তৃতীয় ম্যাচে স্নায়ুর চাপ বাড়ে উত্তরবঙ্গের খেলোয়াড়দের উপর। উত্তরবঙ্গের হয়ে খেলতে নামে সুকন্যা বসু। |
রুপো জয়ের পরে। বৃহস্পতিবার। —নিজস্ব চিত্র। |
প্রতিদ্বন্দ্বী উত্তরবঙ্গেরই তারকা অঙ্কিতা দাস। অঙ্কিতা কর্মসূত্রে পিএসপিবি’র হয়ে খেলে। গত বছর অলিম্পিকে খেলে আসার পর থেকেই অঙ্কিতার আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়েছে। এ দিন সুকন্যাকে হারাতে তাঁকে বেগ পেতে হয়নি। বস্তুত, ৩-০ গেমে অঙ্কিতা হারিয়ে দেয় সুকন্যাকে। পর পর হারে ঘুরে দাঁড়ানোর কোনও সুযোগ তৈরি করতে পারেনি নন্দিতারা।
নর্থ বেঙ্গল টেবল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তথা টেবল টেনিস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার অন্যতম কর্মকর্তা মান্তু ঘোষ বলেন, “র্যাঙ্কিংয়ে নন্দিতা, সাগরিকা, সুকন্যা এক থেকে ১৬-র মধ্যে নেই। অথচ একাধিকবার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন পৌলমী, মৌমাদের মতো খেলোয়াড়দের তাঁরা হারিয়েছেন। কোয়ার্টার ফাইনালে মণিকা বাতরার মতো সিনিয়র খেলোয়াড়কে হারিয়েছে সাগরিকা। ফাইনালে তাই তাঁদের যে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারানোর যোগ্যতা ছিল।” মান্তুর কথায়, “এ দিনও ভালই খেলছিল। নির্ণায়ক গেমে নন্দিতা, সাগরিকাকে হারতে হওয়ায় পিএসপিবি এগিয়ে যায়। আশা করি সিঙ্গলসের খেলাগুলিতে ওরা ভাল করবে।” অঙ্কিতার খেলা নিয়ে এ দিনও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন মান্তু। মান্তুর তত্বাবধানেই খেলছে অঙ্কিতা।
দলগত বিভাগে উত্তরবঙ্গের ছেলেরা অবশ্য মহারাষ্ট্র-এ দলের কাছে প্রিকোয়ার্টার ফাইনালে হেরে ছিটকে যান। উত্তরবঙ্গের হয়ে শুভজিত্ সাহা দুটো গেমে জিতলেও সায়নপাল রায় ২ টি ম্যাচে এবং অর্ণব অধিকারী ১ টি ম্যাচে হেরে যান। |