দু’জনেই সার্ভ অ্যান্ড ভলি প্লেয়ার। আর সে জন্যই লিয়েন্ডার পেজের খেলার রীতিমতো অনুরাগী টিম হেনম্যান। যিনি প্রতিভা তুলতে ব্রিটেনের বাইরে অল ইংল্যান্ড ক্লাবের প্রথম উদ্যোগ, ‘রোড টু উইম্বলডন’-এর নেতৃত্ব দিতে এই মুহূর্তে ভারতে।
ব্রিটিশ টেনিসের অন্যতম সেরা তারকাকে এ দিন পাওয়া গেল আড্ডার মেজাজে। সটান জানিয়ে দিলেন, যুগটা পাওয়ার টেনিসের হলেও বেসলাইনের খেলা তাঁর বেশ ক্লান্তিকর লাগে। ২০০৭-এ অবসর নেওয়া টিমের কথায়, “টেনিস আজকাল কেমন যেন যান্ত্রিক। শুধু পাওয়ার গেম। নেটে উঠে এসে খেলার শিল্পটাই হারিয়ে যাচ্ছে।” এ জন্য অবশ্য আগের তুলনায় মন্থর কোর্ট এবং ভারি বলেরও একটা ভুমিকা দেখছেন টিম। টেনিসে বৈচিত্র ফেরাতে বিভিন্ন গতির সারফেসে খেলার পক্ষপাতি তিনি বলছিলেন, “প্লেয়াররা আজকাল অনেক বেশি অ্যাথলেটিক। কিন্তু খেলায় এত বেশি পাওয়ার এসে গিয়েছে আর কোর্টগুলো এত মন্থর যে, ওদের পক্ষে নেটে উঠে আসাটা বিরাট চ্যালেঞ্জ। এই অবস্থা বদলে টেনিসে বৈচিত্র আমদানি করতে হলে কিন্তু বিভিন্ন গতির সারফেসে বিভিন্ন টুর্নামেন্ট খেলতে হবে।” |
ভারতীয় খুদে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হেনম্যান (বাঁ দিক থেকে চতুর্থ)। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে। ছবি: পিটিআই। |
নোভাক জকোভিচ, রাফায়েল নাদাল, রজার ফেডেরার, অ্যান্ডি মারেদের বর্তমান যুগটা ‘টেনিসের সবচেয়ে কঠিন যুগ’ বলে মেনে নিচ্ছেন টিম। তবু সম্ভবত নিজে সার্ভ অ্যান্ড ভলির অনুরাগী বলেই বেশি নস্ট্যালজিক পিট সাম্প্রাস, আন্দ্রে আগাসি, ইভান লেন্ডাল ও বরিস বেকারদের জমানা নিয়ে। তবে ফেডেরারের খেলার বৈচিত্র তাঁকে মুগ্ধ করে। বলছিলেন, “সব ধরনের সারফেসে সফল ও। ১৭টা গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা অবিশ্বাস্য অ্যাচিভমেন্ট।” টিমের নিজের সবচেয়ে পছন্দের উইম্বলডনের ঘাসের কোর্ট। আর প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে সবার আগে রাখছেন পিট সাম্প্রাসকে।
দিল্লিতে তিন দিনের প্রক্ষিশণ শিবির সেরে টিম রওনা দেবেন মুম্বই। সেখানেও ‘রোড টু উইম্বলডন’-এর অন্তর্গত শিবির করার কথা ব্রিটিশ তারকার। দু’টি শিবির থেকে দু’জন ছেলে ও দু’জন মেয়েকে বাছা হবে। যারা অগস্টে লন্ডনে গিয়ে উইম্বলডনে একটি টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পাবে। |