|
|
|
|
গবেষকদের বিক্ষোভ আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর
৯ জানুয়ারি |
আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দশ দফা দাবিতে ধর্নায় বসলেন। মঙ্গলবার ডিন কমিটির বৈঠক হলেও, সিদ্ধান্তে খুশি না -হওয়ায় আন্দোলন অব্যাহত রাখার কথা জানিয়ে দিয়েছে ‘রিসার্চ স্কলারস্ অ্যাসোসিয়েশন’। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছেন, সমস্ত দাবি মেটাতেই বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপরও আন্দোলন হলে দুর্ভাগ্যজনক।
গবেষকদের অভিযোগ, তাঁদের ‘ফেলোশিপ’-এর টাকা নিয়মিত দেওয়া হয় না। ২০১৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা গবেষকদের ফেলোশিপের ইন্টারভিউ এখনও হয়নি। অনেক সমস্যার মধ্যে তাঁদের গবেষণা করতে হচ্ছে। পৃথক ছাত্রাবাস নেই। তাঁদের অভিযোগ, গত ২ জানুয়ারি এ নিয়ে কথার জন্য উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে যান। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা অফিসাররা তাঁদের ভিতরে যেতে দেননি।
ডিন কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, মাসের ২০ তারিখের মধ্যে গবেষকরা তাঁদের উপস্থিতির রিপোর্ট ‘রিসার্চ -সেলে’ জমা দেবেন। পরের মাসের ৫ তারিখের আগে ওই রিপোর্ট যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক বিভাগে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, ১০ তারিখের মধ্যেই ফেলোশিপের টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। গবেষকদের অন্যান্য বিল (কন্টিনজেন্সি ) ৩১ মার্চের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়া হবে। ২০১৩ সালে ভর্তি গবেষকদের ফেলোশিপ মিটিয়ে দেওয়া নিয়ে ইউজিসি -র দু’টি চিঠি জটিলতা তৈরি করেছে বলেও বৈঠকে জানানো হয়। ইউজিসি -র চিঠিতে জানানো হয়েছে, নতুন নির্দেশিকা না -আসা পর্যন্ত ফেলোশিপ দেওয়া বন্ধ থাকবে। অর্থের সংস্থান হলে ফেলোশিপের ব্যবস্থা করা হবে।
ডিন কমিটির সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ‘রিসার্চ স্কলার অ্যাসোসিয়েশন’। সংগঠনের সভাপতি ফজলুর রহমান বলেন, কর্তৃপক্ষ একতরফা ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দাবি মেটানোর বদলে উপাচার্য -রেজিস্ট্রারের কাছে যাওয়া আটকে দিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আঘাত করা হয়েছে। তা -ই তাঁরা দ্বিপাক্ষিক আলোচনার দাবি জানান।
রিসার্চ সেলের ডেপুটি রেজির্স্ট্রার দেবাশিস চক্রবর্তী জানান, আগে ফেলোশিপের টাকা নির্দিষ্ট খাতে বরাদ্দ হয়ে আসত। দ্বাদশ পরিকল্পনায় তা না -করে সব কিছু একসঙ্গে ধরা হয়েছে। এতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবু ফেলোশিপের টাকা চার মাস ধরে নিয়মিত দেওয়া হচ্ছে। কন্টিনজেন্সি বা যে সব বিল জমে রয়েছে, সে গুলি ৩১ মার্চের আগে মিটিয়ে দেওয়া হবে। ইউজিসি ‘গাইডলাইন’ তৈরি করে দেবে বলায়, ২০১৩ -এর ফেলোশিপের ইন্টারভিউ আটকে রয়েছে। |
|
|
|
|
|