টুকরো খবর
আরটিআই নিয়ে তোপের মুখে রাজ্য
তথ্যের অধিকার আইন (আরটিআই ) নিয়ে প্রচার নিজেদের তথ্য প্রকাশ করার বিষয়ে রাজ্যগুলি এখনও পিছিয়ে রয়েছে বলে জানাল কেন্দ্র। এই বিষয়ে আরও উদ্যোগী হতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান কর্মিবর্গ প্রতিমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী। আজ আরটিআই নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করেছিল কর্মিবর্গ দফতর। সেখানেই তিনি বলেন, “আমরা চাই, গ্রামের এক জন সাধারণ মানুষও আরটিআই আর্জি পেশ করুন। কিন্তু তাঁকে সেই অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে হবে।” নারায়ণস্বামীর দাবি, রাজ্যগুলি এই বিষয়ে যথেষ্ট উদ্যোগী নয়। সরকার বেসরকারি সংস্থার যৌথ উদ্যোগ (পিপিপি ) , অফিসার কর্মীদের বদলি, কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের আপত্তির মতো বিষয়গুলি প্রকাশ করা উচিত। আরটিআই নিয়ে নাগরিক সমাজের সাহায্যও চেয়েছেন নারায়ণস্বামী। তাঁর কথায়, “কী ভাবে এই আইনকে আরও ভাল ভাবে ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে সকলের মত শুনতে আমরা তৈরি।” আরটিআই -এর নং ধারায় সরকারি দফতরগুলিকে কিছু বিষয় বাধ্যতামূলক ভাবে প্রকাশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত এপ্রিলে সব কেন্দ্রীয় মন্ত্রককে ছ’মাসের মধ্যে ওই নির্দেশ মানতে বলেছিল কর্মিবর্গ দফতর।

মোদীকে কড়া আক্রমণ রাজের
নরেন্দ্র মোদীকে অতীতে সমর্থনের কথাই বলতেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার (এমএনএস ) প্রধান রাজ ঠাকরে। কিন্তু আজ বেনজির ভাষায় বিজেপি - প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীকে আক্রমণ করেছেন তিনি। তাঁর মতে, মোদী যদি প্রধানমন্ত্রী হতে চান, তবে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়ুন। ঘরোয়া স্তরে বিজেপির দাবি, রাজের সঙ্গে মোদীর মোদীর সম্পর্ক মধুরই আছে। তা হলে রাজের এই মন্তব্যের কারণ কী? বিজেপি সূত্রে খবর, এর পিছনে রয়েছে মহারাষ্ট্রের রাজনীতি। আগামী লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রে বিজেপি, শিবসেনার পাশাপাশি রাজকেও একই মঞ্চে চান মোদী। তাতে রাজ রাজি ছিলেন। বেঁকে বসেছেন উদ্ধব। তাই রাজ এখন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মতো কৌশল নেওয়ার চেষ্টা করছেন। বিজেপি - মতে, দিল্লিতে কংগ্রেস -বিরোধী ভোট কেটে আসলে বিজেপিকেই দুর্বল করার চেষ্টা করেছিলেন কেজরিওয়াল। একই ভাবে বিজেপি -বিরোধী ভোট কেটে কংগ্রেস -এনসিপি -কে বিপাকে ফেলতে চাইছেন রাজ।

কয়লাখনি বণ্টনে গলদ মানল কেন্দ্র
কয়লাখনি বণ্টন প্রক্রিয়ায় বড় গলদ হয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্টে মানল কেন্দ্র। কয়লা কেলেঙ্কারি মামলায় এই প্রথম এ কথা মেনে নিলেন কেন্দ্রের আইনজীবীরা। ২০০৪-২০০৯ সাল পর্যন্ত কয়লাখনি বণ্টনে গলদ নিয়ে প্রথম প্রশ্ন তোলে কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি)। পরে তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে সিবিআই তদন্ত শুরু হয়। যে সময়কালের বণ্টন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, তার বছর তিনেক ওই মন্ত্রকের দায়িত্ব ছিল প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের হাতে। ফলে, এই কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে বার বার মনমোহনকে নিশানা করেছে বিরোধী দলগুলি। সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময়ে বিচারপতি আর এম লোঢা, বিচারপতি কুরিয়ান জোসেফ ও বিচারপতি মদন বি লোকুরের বেঞ্চ মন্তব্য করে, “খনি বণ্টন আরও ভাল ভাবে করা যেত।” সে কথা মেনে নিয়ে অ্যাটর্নি-জেনারেল জি ই বাহনবতী বলেন, “জাতীয় স্বার্থের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু পরে তাতে গলদ দেখা দিয়েছে। তা সংশোধন প্রয়োজন।” বাহনবতীর এই সওয়ালের পরেই ফের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলেছে বিজেপি। স্বভাবতই তাতে আমল দেয়নি কংগ্রেস।

পারিবারিক বিবাদে হত ৩ ডিব্রুগড়ে
দুই পরিবারের বিবাদের জেরে এক দম্পতি এক বৃদ্ধার মৃত্যু হল। ঘটনাটি ঘটেছে ডিব্রুগড়ে। পুলিশ জানায়, গত কাল রাতে ডিব্রুগড়ের জামুলতলি এলাকার এথেলউড চা -বাগানে সঞ্জীব ভক্ত দীপিকা ভক্তর সঙ্গে অজয় মুড়া নামে এক চা শ্রমিকের ঝগড়া হয়। গালাগালি গড়ায় হাতাহাতিতে। এরপর ভক্তদম্পতির ঘরে ঢুকে অজয় মুড়া দায়ের কোপে দু’জনকে ঘায়েল করে। দীপিকাদেবী ঘটনাস্থলেই মারা যান। হাসপাতালে সঞ্জীববাবুর মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকেই অজয় মুড়া পলাতক। আজ সকালে বাগানের শ্রমিকরা অজয় মুড়ার বাড়িতে চড়াও হয়। অজয়কে না পেয়ে তার মা লক্ষ্মী মুড়াকে মারধর করা হয়। মারধরের চোটে লক্ষ্মীদেবীও মারা যান। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। লক্ষ্মীদেবীর উপরে চড়াও হওয়া শ্রমিকদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

সেতুর নীচে শিশুর দেহ
একটি সেতুর তলা থেকে এক শিশুকন্যার মৃতদেহ উদ্ধার হল। ঘটনাটি ঘটেছে মণিপুরের চূড়চাঁদপুরে। পুলিশ জানায়, দু’দিন ধরে নিখোঁজ ছিল বছরের মেয়েটি। পড়শিরা তার সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন। অবশেষে, গত কাল লামকা সেতুর তলায় মেয়েটির দেহ মেলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেয়েটির গোপনাঙ্গেও রক্ত ছিল। সন্দেহ করা হচ্ছে ধর্ষণের পরে তাকে সেতু থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

চার্জশিট আসারামকে
আসারাম বাপুর বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অবৈধ ভাবে আটকে রাখা ফৌজদারি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনল গুজরাত পুলিশ। বৃহস্পতিবার গাঁধীনগরের আদালতে আসারামের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে পুলিশ। তাতে আসারামের স্ত্রী, মেয়ে -সহ আরও পাঁচ জনের নামও রয়েছে। আমদাবাদ শহরের বাইরে আসারমের যে আশ্রম রয়েছে, সেখানে ১৯৯৭ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত থাকতেন দুই বোন। বড় বোন অভিযোগ জানান, আশ্রমে থাকার সময়ে আসারাম একাধিক বার তাঁর উপর যৌন নির্যাতন করেছে। অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করেছে আসারাম।

পুরনো খবর:
চুরির অনুমতি
ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধিতে নাস্তানাবুদ মানুষ। তাই এর মোকাবিলায় এক অভিনব উপায় বার করলেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার এক নেতা। নাসিকের সিন্নার তালুকা এলাকার নেতা জয়ন্ত অভাড় পুলিশের কাছে রীতিমতো চিঠি লিখে চুরি করার লাইসেন্স চেয়েছেন। তাঁর মতে এটাই নাকি মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের রাস্তা।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.