|
|
|
|
শুল্ক ফাঁকি দিয়ে জেলে ব্যবসায়ী
নিজস্ব সংবাদদাতা |
উৎপাদন শুল্ক ফাঁকি দেওয়ায় এ বার জেল খাটতে হল ব্যবসায়ীকে। পশ্চিমবঙ্গে এই প্রথম।
এত দিন এই অপরাধে ধরা পড়লেও জামিন পেতেন ব্যবসায়ীরা। ২০১৩ সালে দেশের বাজেটে কেন্দ্রীয় আবগারি দফতরকে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলার অনুমতি দেওয়া হয়। বলা হয়, কোনও ব্যবসায়ী ৫০ লক্ষ টাকার বেশি উৎপাদন শুল্ক ফাঁকি দিলে তাঁকে গ্রেফতার করে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করতে হবে। সেই হিসেবেই আড়াই কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দেওয়ায় মঙ্গলবার গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী ননীগোপাল ঘোষকে গ্রেফতার করেন কেন্দ্রীয় আবগারি দফতরের অফিসারেরা। বুধবার আলিপুর আদালত তাঁকে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল হাজত দেয়। আবগারি দফতর সূত্রে খবর, জামাকাপড় প্যাকিংয়ের কাজে ব্যবহৃত প্লাস্টিক ও ক্লিপ তৈরির ব্যবসা ননীগোপালবাবুর।
আবগারি দফতরের নিয়ম, কোনও ব্যবসায়ী বছরে ৯০ লক্ষ টাকার বেশি মূল্যের সামগ্রী উৎপাদন করলে তা শুল্ক দফতরকে জানাতে হবে। বছরে উৎপাদন দেড় কোটি টাকার বেশি হলে উৎপাদন শুল্ক দিতে হবে। অফিসারদের অভিযোগ, বছরে ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকার উৎপাদন করেও শুল্ক দিচ্ছিলেন না ননীগোপালবাবু। অভিযোগ, তিনি আবগারি দফতরের রেজিস্ট্রেশনও করাননি। শুল্ক ফাঁকির খবর পেয়ে গত অক্টোবরে ননীগোপালবাবুর বাড়ি ও কারখানায় হানা দেন কেন্দ্রীয় আবগারি অফিসারেরা। প্রচুর নথি বাজেয়াপ্ত করে তা পরীক্ষা করেই মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। |
|
|
|
|
|