পাঠ্যবই বিক্রির অভিযোগ, রামপুরহাটে আটক শিক্ষিকা
ড়ুয়াদের জন্য আসা বই বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল একটি শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। রামপুরহাট থানার দানগ্রামের ঘটনা। এই অভিযোগে বাসিন্দাদের একাংশ বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই শিক্ষিকাকে আটক করেন। খবর পেয়ে এলাকায় যান রামপুরহাট ১ ব্লকের যুগ্ম বিডিও কৌশিক সমাদ্দার। তিনি জানান, সে সব বই বিক্রি করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ, তার মধ্যে কিছু পুরনো বই আছে, যেগুলি বর্তমানে সিলেবাসে নেই। আবার কিছু বই আছে, যেগুলি এখনও পড়ুয়াদের পাঠ্য। তিনি বলেন, “সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্তের বিরূদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়েছেন রামপুরহাট ১ ব্লকের বিডিও শ্রেয়ষী ঘোষও। বই বিক্রির অভিযোগ স্বীকার করেছেন শিক্ষিকা মণিরা খাতুন।
দানগ্রাম স্কুলে এই বইগুলি বিক্রি করা নিয়ে গণ্ডগোল। —নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর থেকে শিশু শিক্ষা কেন্দ্র দেখভাল এবং বইয়ের জোগান দেওয়া হয়। ওই দফতরের জেলা আধিকারিক অনুপমা পুরকায়স্থ বলেন, “বই বিক্রি করার কোনও এক্তিয়ার নেই। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।” অভিযুক্ত শিক্ষিকা মণিরা খাতুন দানগ্রামের ওই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে ২০০২ সাল থেকে রয়েছেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এ দিন কেন্দ্র চলাকালীন একজন টিন, লোহা ভাঙা ও ছেঁড়া কাগজ-বই কেনার কারবারীকে ওই শিক্ষিকা সরকারি বই বিক্রি করছেন। তা দেখে তাঁরা বাধা দেন। পরে ওই শিক্ষিকাকে কেন্দ্রের একটি ঘরে আটক করে রাখেন বাসিন্দারা। দুপুরে দানগ্রামে গিয়ে দেখা যায়, অসুস্থতার জন্য প্রধান শিক্ষিকা রাহেবা খাতুন কেন্দ্রে আসেননি। গ্রামবাসীদের একাংশ অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে আটকে রেখেছেন। আর এক জন শিক্ষিকা কেন্দ্রের বাইরে বসে আছেন। মণিরা খাতুন বলেন, “কেন্দ্রে এখন ৮০ জন পড়ুয়া। নতুন শিক্ষাবর্ষে ভর্তি চলছে। মধ্যে পুরনো অনেক বই জমে ছিল। তাই বিক্রি করে দিচ্ছিলাম।” যে বইগুলি তিনি বিক্রি করে দিচ্ছিলেন, সেগুলির মধ্যে অধিকাংশই এক বছর আগের।
এলাকার বাসিন্দা তথা ওই কেন্দ্রের ‘মাতা কমিটি’র সম্পাদিকা নুরবানু বিবি, অভিভাবক রেবেনা বিবিদের অভিযোগ, “শিক্ষিকা বলছেন, তৃতীয়, চতুর্থ শ্রেণির কিছু নতুন বই এখনও আসেনি। পাঠ্যসূচির পরিবর্তন না হলেও কেন্দ্রে থাকা বইগুলি বিক্রি হচ্ছিল দেখে আমরা বাধা দিই।” গ্রামশিক্ষা কেন্দ্রের সভাপতি তথা দখলবাটি পঞ্চায়েতের সদস্য সুশান্ত বাউড়ির দাবি, “আমার সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করেই বইগুলি বিক্রি করা হচ্ছিল। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনা হয়েছে।” প্রধান শিক্ষিকা রাহেবা খাতুন ১৯৯৯ সাল এই কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত। তিনি অবশ্য বলছেন, “প্রতি বছর পুরনো বই বিক্রি করা হয়। ওই বই বিক্রির টাকায় আমরা টিফিন করি।” যুগ্ম বিডিও কৌশিক সমাদ্দার বলেন, “ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সেটা বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.