|
|
|
|
সব অফিসে সৌরবিদ্যুৎ, দাবি মন্ত্রীর
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
চলতি বছরের মধ্যেই সমস্ত সরকারি অফিসে সৌরবিদ্যুতে চলবে সমস্ত যন্ত্র, জ্বলবে বাতি, বর্ধমানের বিদ্যুৎ সরবরাহ কোম্পানি লিমিটিডের পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক সেরে বেরিয়ে এমনটাই জানালেন বিদ্যুৎমন্ত্রী মণীশ গুপ্ত।
এ দিন তিনি বলেন, “সৌরবিদ্যুৎকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন সরকারি দফতরকে শক্তি যোগানোর লক্ষমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এতে একদিকে যেমন বিদ্যুতের খরচ বাড়বে, তেমনি মানুষকে সৌরবিদ্যুত ব্যবহারে আগ্রহী করা যাবে।” এছাড়া গ্রামীণ বিদ্যুদয়ন প্রকল্পের আওতায় চলতি বছরে প্রায় ৫০ হাজার পরিবারকে বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি। ইতিমধ্যে রাজ্যে প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ পরিবারকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। |
|
বৃহস্পতিবার বর্ধমান সার্কিট হাউসে বিদ্যুৎ মন্ত্রী মণীশ গুপ্ত। —নিজস্ব চিত্র। |
এ ছাড়া কাটোয়ায় এনটিপিসি-র তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ প্রায় শেষের মুখে, ওই কাজে আপাতত আর কোন বাধা নেই। ফলে দ্রুত ওই এলাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ শুরুর পদক্ষেপ করা হবে বলেও বিদ্যুৎ মন্ত্রীর দাবি। তিনি আরও জানান, অন্ডালে বিদ্যুতের একটি টাওয়ার সরানোকে কেন্দ্র করে গোলমাল দেখা দিয়েছিল। সেই সমস্যা মিটেছে। জামুড়িয়ায় একটি ২ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনের কাজও শেষ হয়েছে। কাঁকসার বুকে পাঁচ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের কাজও শেষ। কাঁকসায় আরও পাঁচ মেগাওয়েট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের কাজও শুরু হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। এই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলি থেকে এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজও আগামীতে শুরু হবে বলে মণীশবাবুর দাবি।
বর্ধমানের আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত বিদ্যুৎ কর্মীদের একটি ইউনিয়নের নেতা চিত্ত সিংহরায় এ দিন মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে শহরের পাওয়ার হাউসে পাঁচ একর জায়গার উপর একটি বিদ্যুৎ ভবন তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন। চিত্রবাবুর দাবি, “শহরে বিদ্যুৎ দফতরের সমস্ত অফিসই চলছে ভাড়া বাড়িতে। এতে একদিকে যেমন খরচ বাড়ছে, অন্যদিকে অফিসগুলিতে স্থানসঙ্কুলান ক্রমেই অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে। বিদ্যুৎভবন তৈরি করে সমস্ত অফিসকে একই ছাতার তলায় এনে ফেললে, খরচও অনকটাই কমে যাবে।” মন্ত্রী এই প্রস্তাব বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন। |
|
|
|
|
|