গত বারের তুলনায় চলতি আর্থিক বছরে কোচবিহারে ৩ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ দফতর। ২০১২-১৩-এ রাজস্ব আদায় হয়েছিল ১৭ কোটি টাকা। ২০১৩-১৪ আর্থিক বছরে ওই অঙ্ক বাড়িয়ে ২০ কোটি টাকা করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। যদিও ডিসেম্বর পর্যন্ত আদায় হয়েছে ১৪ কোটি টাকা। বাকি তিন মাসে আরও ছয় কোটি টাকা আদায় আদৌ সম্ভব কি না সে নিয়ে সংশয় রয়েছে। এমনকী দফতরের বেশ কিছু পদ খালি থাকায় বাস্তবে ওই লক্ষ্যপূরণ কতটা সম্ভব, সেই ব্যাপারে দফতরের কর্মীদের একাংশেও প্রশ্ন উঠেছে।
জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ দফতর আধিকারিক তাপস বিশ্বাস বলেছেন, “ডিসেম্বরের মধ্যে ১৪ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করা গিয়েছে। তিন মাসে ছ’কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ে কিছু পদক্ষেপ করে সাধ্য মত চেষ্টা হচ্ছে।”
দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে বাড়তি রাজস্ব আদায়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পথকর জমা না দেওয়ায় ১২০০ ছোট গাড়ি ও বাস মালিকের তালিকা করা হয়েছে। তাদের জরিমানার অঙ্ক-সহ নির্ধারিত ফি মেটানোর চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে। দফতরের কয়েকজন আধিকারিক জানান, কর মেটানোর নির্দিষ্ট তারিখ জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাও বকেয়া না মেটালে জরিমানার অঙ্ক বাড়বে। ওই চিঠির ব্যবস্থা কার্যকর করা গেলে দেড় কোটি টাকা রাজস্ব খাতে জমা পড়তে পারে বলে প্রাথমিক হিসাবের পর পরিবহণকর্তাদের দাবি।
জোর দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত ওজনবাহী ট্রাকের থেকে ‘জরিমানা’ আদায়েও। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, ছয় চাকার ট্রাকে ৬ টন ও দশ চাকার গাড়িতে ১০ টনের বেশি ওজনের পণ্য সামগ্রী থাকার কথা নয়। কিন্তু অসম ও লাগোয়া রাজ্যগুলিতে কোচবিহারের সীমানা দিয়ে দৈনিক হাজারের বেশি যানবাহন ও ট্রাক যাতায়াত করছে যার একটা বড় অংশের ক্ষেত্রেই ওই নিয়ম মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। নিয়মিত অভিযান চালিয়ে ওই সব যানবাহন থেকে জরিমানা আদায়ের জন্য দুটি বিশেষ দল গড়া হয়েছে। পাশাপাশি নতুন রেজিস্ট্রেশন, লাইসেন্সের আর্জি দ্রুত মঞ্জুর করে রাজস্ব জমা বাড়ানোর ব্যাপারেও কর্মীদের সদাসতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন আধিকারিকরা।
যদিও কর্মীদের একাংশ উদ্যোগের লক্ষ্যপূরণ নিয়ে সন্দিহান। এই ব্যাপারে তাদের বক্তব্য, ওই দফতরে এআরটিও, সিস্টেম ম্যানেজার, আপার ও লোয়ার ডিভিশন ক্লার্কের মত বেশ কিছু পদ খালি পড়ে। ফলে কাজে গতি আনার পরিকল্পনা কতটা বাস্তবায়িত করা সম্ভব তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। |