তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের স্মারকলিপি দেওয়ার সময়ে ডিআইয়ের অফিসে ঢুকে অভব্য আচরণের অভিযোগে নিগৃহীত হন এবিটিএ জেলা সম্পাদক তমাল চন্দ সহ কয়েক জন। বুধবার শিলিগুড়ি স্কুল পরিদর্শকের দফতরে বেলা ৩টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। স্কুল পরিদর্শকের ঘরে ঢুকে ‘তুই-তোকারি’ করে তমালবাবু ফাইল চান। তখনই তৃণমূল মনোভাবাপন্ন শিক্ষক সংগঠন কর্মীরা তমালবাবু ও তাঁর অনুগামীদের গলাধাক্কা দিয়ে বার করে দেন বলে অভিযোগ। তখন এবিটিএ সদস্যরা রুখে দাঁড়ান। গোলমাল চরমে উঠতে পারে আশঙ্কায় পুলিশকে ফোন করেন স্কুল পরিদর্শক সঞ্জীব ঘোষ। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়।
তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের নেতা জয়ন্তবাবুর অভিযোগ, “স্মারকলিপি চলাকালীন দফতরে ঢুকে তমালবাবু স্কুল পরিদর্শককে ‘তুই-তোকারি’ করে কথা বললে আমরা বাধা দিয়েছি। তমালবাবু গোলমালের চেষ্টা করলে সংগঠনের কয়েকজন তাঁদের বার করে দেন। কাউকে মারধর করিনি।”
এবিটিএ দার্জিলিং জেলা সম্পাদক তমাল চন্দ জানান, বেলা আড়াইটে নাগাদ স্কুল পরিদর্শকের দফতরে নতুন কাজে যোগ দেওয়া শিক্ষকদের সমস্যা নিয়ে স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য তাঁরা অনুমতি নিয়েছিলেন। অথচ অপেক্ষা করার পর তৃণমূল প্রভাবিত সংগঠনের লোক বের হচ্ছিলেন না। তমালবাবুর দাবি, “বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা আমাদের সঙ্গে ছিলেন। দেরি হচ্ছে দেখে তাঁরা স্কুল পরিদর্শকের দফতরে ঢুকে সেই ফাইলগুলি অনুমোদন করে ছেড়ে দিতে বলি।” তাঁর অভিযোগ, “ওই সময়ে অপর সংগঠনের লোকজন আমাদের হেনস্থা করেছে। কয়েক জনকে মারধর করেছে।” সেই সঙ্গে স্কুল পরিদর্শকের সঙ্গে অভব্য আচরণ করার যে অভিযোগ উঠছে তা ঠিক নয় বলেও তমালবাবু দাবি করেছেন।
স্কুল পরিদর্শক সঞ্জীববাবু জানান, দুই পক্ষ শিক্ষকদের সমস্যা নিয়ে তার কাছে স্মারকলিপি দিতে চাইলে তিনি এ দিন সময় দেন। ১টা থেকে দেড়টার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল সেকেন্ডারি টিচার অ্যাসোসিয়েশনকে সময় দেওয়া হয়েছিল। আড়াইটা থেকে ৩টার মধ্যে সময় দেওয়া হয়েছিল এবিটিএ’কে। পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল সেকেন্ডারি টিচার অ্যাসোসিয়েশন-এর আন্দোলন বেলা ৩টের পরেও চলতে থাকলে এবিটিএ’র জেলা সম্পাদক তমাল চন্দ-সহ আরও ৩ জন স্কুল পরিদর্শকের দফতরে ঢুকে পড়েন। তৃণমূল মনোভাবাপন্ন শিক্ষক সংগঠনের সকলেরই অভিযোগ, ঘরে ঢুকে তমালবাবু স্কুল পরিদর্শককে ‘এই ডিআই ফাইল কোথায়’ প্রশ্ন করলে বাধা দেন প্রদীপ আতর, জয়ন্ত কররা। কেন তাদের স্মারকলিপি দেওয়ার সময়ে ঢুকে তমালবাবু কথা বলছেন প্রশ্ন তুলে তাকে বাইরে যেতে বলেন। জয়ন্তবাবুর দাবি, “তমালবাবু আমাদের অনুরোধ না শুনে ফের অভব্য আচরণ করতে থাকায় সমবেত প্রতিবাদ হয়।” |