|
|
|
|
টুকরো খবর |
গ্রামীণ বিদ্যুদয়নে মন্ত্রীর দাওয়াই
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
গ্রামীণ বিদ্যুদয়নের কাজ পুরুলিয়ায় ঢিমেতালে চলছে। এমন অভিযোগ আগেই উঠেছিল। বুধবার পুরুলিয়ায় এসে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন খোদ রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী মণীশ গুপ্ত। এ দিন তিনি জেলা প্রশাসনের কর্তাদের কাছে বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো জবাবদিহি চান। কাজে গতি আনতে তিনি অবিলম্বে গ্রামীণ বিদ্যুদয়নের প্রকল্পের সঙ্গে ১০০ দিন কাজের প্রকল্পকে যুক্ত করার নির্দেশও দিয়েছেন। ওই কাজে গতি আনতে এ দিন পুরুলিয়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, “গ্রামীণ বিদ্যুদয়নের প্রকল্পের কাজে গতি আনতে এ বার ১০০ দিনের কাজকেও যুক্ত করা হবে। পুরুলিয়াই হবে তার পাইলেট প্রজেক্ট।” গ্রামীণ বৈদ্যুতিকরণ দফতরের পুরুলিয়া জেলা সুপারিটেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়র আশিসনারায়ণ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, মন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে ওই কাজ কী ভাবে হবে, দ্রুত তার একটি রূপরেখা তৈরি করা হবে। এ নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে একটি বৈঠক করে তা ঠিক করা হবে।
|
বোরোতে ফোন অচল
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোরো |
দেড়মাস ধরে বোরো থানা এলাকায় বিএসএনএলের ল্যান্ড ফোন অচল হয়ে রয়েছে। এর ফলে সাধারণ বাসিন্দারা তো বটেই, সরকারি আধিকারিকরাও সমস্যায় পড়েছেন। এত দিন ধরে ফোন অচল থাকলেও বিএসএনএলের উদ্যোগ নজরে পড়েনি বলে বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গত ২৬ নভেম্বর থেকে ফোনগুলি অচল হয়ে রয়েছে। বোরো থানার ওসি অভিজিৎ সিংহের অভিজ্ঞতা, “দীর্ঘদিন ধরে থানার ফোন অচল। বিএসএনএলের কর্মীরা মাঝেমধ্যে মেরামত করতে আসেন। কিন্তু ফোন আর চালু হয়নি।” তিনি জানান, এতে পুলিশের যেমন কাজের অসুবিধা হচ্ছে, তেমনই বাসিন্দারাও ভুগছেন। মানবাজার ২ ব্লকের বিডিও পার্থ কর্মকার বলেন, “ব্লক অফিসের ফোন দীর্ঘকাল ধরে অচল। এ নিয়ে জেলা টেলিকম আধিকারিককে কয়েক বার জানিয়েছি। কিন্তু পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি। অথচ ফি মাসে ফোনের বিল জমা করতে হচ্ছে।” যদিও পুরুলিয়া জেলা টেলিকম আধিকারিক বি টি মল্লিকের দাবি, “ওই এলাকায় ফোন পরিষেবা মিলছে না বলে জানতাম না। খোঁজ নিয়ে দেখছি।” মানবাজারের টেলিকম (মহকুমা) আধিকারিকের দায়িত্বে থাকা হরেরাম সিং বলেন, “বোরোয় টেলিফোন অফিসের যন্ত্রাংশ পুড়ে গিয়েছে। ভুবনেশ্বর থেকে ওই যন্ত্রাংশ নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”
|
বিবাদ, মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিমলাপাল |
জমি নিয়ে বিবাদের জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক যুবকের। বুধবার ঘটনাটি ঘটে সিমলাপাল থানার আমাকোঁদা গ্রামে। মৃতের নাম পাগল মণ্ডল (৩২)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে সিমলাপালের সাবস্টেশন লাগোয়া একটি জমির দখলদারি নিয়ে, স্থানীয় ধ্রুবজ্যোতি সেন, দেবজ্যোতি সেনদের সঙ্গে রামনগরের বাসিন্দা সিংহবাবু পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তাতে দু’পক্ষের কয়েকজন জখম হন। ৬ জনকে প্রথমে সিমলাপাল ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে ধ্রুবজ্যোতি সেন, তাঁর দাদা দেবজ্যোতি সেন ও বাড়ির পরিচারক পাগল মণ্ডলকে বাঁকুড়া মেডিক্যালে স্থানান্তর করা হয়। সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ জানায়, দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত শুরু চলছে।
|
মারধরের অভিযোগ |
পঞ্চায়েত অফিসের মধ্যেই সিপিএমের এক পঞ্চায়েত সদস্যকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুধবার ইন্দাস ব্লকের দীঘলগ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। বহলালপুর গ্রামের বাসিন্দা অজয় মালিক নামে ওই পঞ্চায়েত সদস্যকে বর্ধমান মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। সিপিএমের ইন্দাস জোনাল কমিটির সম্পাদক অসীম দাসের অভিযোগ, “এ দিন দুপুরে ওই পঞ্চায়েতে গিয়েছিলেন দলের নির্বাচিত সদস্য অজয় মালিক। সেই সময় তৃণমূলের কয়েকজন কর্মী তাঁকে বিনা কারণে মারধর করে নতুন করে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে।” ইন্দাস ব্লক তৃণমূলের যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল হোসেন অবশ্য দাবি করেন, “সিপিএমের ওই পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে এলাকার একটি গাছ গোপনে কেটে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সেই কারণে তাঁকে পঞ্চায়েতে ডেকে পাঠানো হয় বলে শুনেছি। তবে তাঁকে মারধর করা হয়নি বলেই জানি।” পুলিশ জানায়, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
|
জৈব পদ্ধতিতে চাষ |
পুরুলিয়ায় উন্নত প্রযুক্তিকে চাষের কাজে ব্যবহার করতে, পিপিপি মডেলে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু করছে রাজ্যের জৈবপ্রযুক্তি দফতর। বুধবার পুরুলিয়ায় ‘সবুজ দিশা’ নামে এই প্রকল্পের সূচনা করেন জৈবপ্রযুক্তি দফতরের মন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “জৈবপ্রযুক্তিতে তৈরি শাক-সব্জি ফলনে দাম হয়তো একটু বেশি পড়বে, কিন্তু ফসল খুবই স্বাস্থ্যসম্মত। পশ্চিম মেদিনীপুরের গোপীবল্লভপুর ও গড়বেতায় এই জৈবপ্রযুক্তি ব্যবহার করে লাক্ষা, সব্জি চাষে ভালো ফল পেয়েছি।” তিনি জানান, পুরুলিয়া শহরে একটি প্রশিক্ষণকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। নিখরচায় চাষিদের এই প্রযুক্তি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। উপস্থিত ছিলেন স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি প্রকল্প বিষয়ক মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। কাশীপুরের জোড়সা গ্রামের চাষি শিবসাগর মাহাতো, গৌতম মাহাতো, হুড়ার পালগাঁ গ্রামের সুভাষচন্দ্র মাহাতো বলেন, “এই প্রযুক্তি সম্পর্কে যা জানলাম, তা যদি এখানে করা যায় আমরাও আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ করতে পারব।”
|
মুকুটমণিপুর মেলা |
আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে মুকুটমণিপুর মেলা। এ বছর এই মেলা ১৬ বছরে পা দিল। খাতড়ার মুকুটমণিপুরে কংসাবতী জলাধার লাগোয়া এলাকায় বসছে তিন দিনের এই মেলা। মেলা কমিটির সম্পাদক তথা খাতড়ার মহকুমাশাসক শুভেন্দু বসু জানান, এ বার মেলার বাজেট প্রায় সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা। মূল মঞ্চে তিনদিন ধরেই হবে আদিবাসী নৃত্য, লোকসঙ্গীত, ঝুমুর, রণ-পা, নাটক-সহ নানা অনুষ্ঠান। এ ছাড়া, কলকাতার শিল্পীদের নিয়েই একটি অনুষ্ঠানও হবে। স্থানীয় হস্তশিল্পীদের কয়েকটি স্টলও থাকছে।
|
থানায় বিক্ষোভ |
শুশুনিয়া পাহাড়ে মদ ও জুয়ার ঠেক ভাঙার দাবি তুলল বিজেপি। বুধবার সকালে মোট ১২ দফা দাবিতে ছাতনা থানায় বিক্ষোভ দেখিয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয় ওই দলের তরফে। পুলিশ-প্রশাসনের তরফে দাবিগুলি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। |
|
|
|
|
|