শৌচাগার তৈরির দাবি ছিল বহুদিন ধরেই। শেষপর্যন্ত ২০০৯ সালে বিধায়ক তহবিলের টাকায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়চক জেটিঘাট মোড়ে তৈরি হয় ওই শৌচাগার। কিন্তু আজ পযর্ন্ত তা আর চালু হয়নি। ফলে সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় মানুষ ও নিত্যযাত্রীরা। সমাধানের জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ২০০৮ সালে ডায়মন্ড হারবারের তৎকালীন সিপিএম বিধায়ক ঋষি হালদার তাঁর তহবিল থেকে ৬ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা অনুমোদন করেন। সেই মতো রায়চক জেটিঘাটের পাশে সেচ দফতরের জমিতে বছর খানেকের মধ্যেই তৈরি হয় শৌচাগারটি। তারপরে কেটে গিয়েছে পাঁচটি বছর। কিন্তু এখনও চালু হয়নি সেটি। তৈরি হওয়ার পর থেকেই তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে। |
জেটিঘাট দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের প্রায় কয়েক হাজার মানুষ। মহিলা ও শিশুদের সমস্যা হয় আরও বেশি। নভেম্বর থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত বহু মানুষ পিকনিক করতে আসেন। স্থায়ী কোনও শৌচাগার না থাকায় সমস্যা হয় তাঁদেরও। খোলা জায়গায় প্রস্রাব করার ফলে এলাকায় দূষণ বাড়ছে বলেও অভিযোগ বাসিন্দাদের।
রায়চক জেটিঘাট এলাকাটি ডায়মন্ড হারবার-২ পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে। বর্তমানে ওই পঞ্চায়েত সমিতি ফের দখল করেছে সিপিএম। পঞ্চায়েত সমিতিতে সদস্য হয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক ঋষি হালদার। তাঁর কথায়, “শৌচাগার নির্মাণ হয়ে যাওয়ার পরেও তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতিতে ক্ষমতায় এসে আর সেটি চালু করেনি। পঞ্চায়েত সমিতির সঙ্গে কথা বলে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেব।” ডায়মন্ড হারবার-২ এর বিডিও তীর্থঙ্কর বিশ্বাস বলেন, “ওই শৌচাগারের কিছু কাজ বাকি থাকায় তা চালু করা যায়নি। পঞ্চায়েত সমিতির সঙ্গে আলোচনা করে ওই শৌচাগার যাতে অবিলম্বে চালু করা যায় তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
কী বলছেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক?
ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক দীপক হালদার বলেন, ‘‘ওই শৌচাগারে এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ ও জল সরবরাহের ব্যবস্থা হয়নি। তবে খুব শীঘ্রই আলোচনা করে এ সব সমস্যা মিটিয়ে শৌচাগার চালু করা হবে।” |