|
|
|
|
রাস্তার জমি নিয়ে বচসা, আহত চার
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
রাস্তার জন্য জমি দিতে না চাওয়ায় বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এগরা ২ ব্লকের অর্ন্তগত পানিপাড়ুলের সরিষা গ্রামে। ঘটনায় আহত হল চার জন। তাঁদের একজনকে কলকাতা পিজি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সরিষা গ্রামের এক প্রান্তে দিন্দা ও কুইল্যাদের ১৮টি পরিবারের বাস। ওই পাড়ায় পৌঁছতে গেলে স্থানীয় বাসিন্দা রবীন্দ্র মাইতির নিজস্ব জায়গার উপর দিয়ে যেতে হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, এক সময় রবীন্দ্রবাবুর বাবা হেমন্ত মাইতি মৌখিক ভাবে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতকে রাস্তা তৈরির জন্য জমি দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। পরে তা অস্বীকার করায় গ্রামবাসীর সঙ্গে তাঁর বিরোধ বাধে। সেই নিয়ে গণ্ডগোল বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন। |
আহতরা চিকিৎসাধীন। —নিজস্ব চিত্র। |
এরই মধ্যে রবীন্দ্রনাথবাবুর ছেলে পরেশ মাইতি বাড়ি বানানোর জন্য বালি ও চিপস নিয়ে ওই একই রাস্তায় যাওয়ার চেষ্টা করলে গ্রামবাসী তাঁদের বাধা দেয় বলে অভিযোগ। তারপরই বচসা থেকে শুরু হয় মারামারি। এই সময় রবীন্দ্র মাইতি তাঁর ছেলে অস্ত্র নিয়ে গ্রামবাসীকে বাধা দিলে কয়েক জন তাতে আহত হন বলেও অভিযোগ।
অভিযোগ, মাইতি পরিবারের আক্রমণে স্থানীয় ননীগোপাল কুইল্যা, সন্তোষ আচার্য, কার্তিক দিন্দা ও মহেশ্বর আচার্য নামে চার গ্রামবাসী আহত হন। আহতদের প্রথমে স্থানীয় পানিপাড়ুল প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ও পরে কাঁথির দারুয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিকালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সন্তোষ আচার্যকে কলকাতায় পাঠানো হয়। অভিযোগ, এরপর ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী অভিযুক্ত রবীন্দ্র মাইতির বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। যদিও স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য প্রফুল্ল পয়ড়্যা গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে আগুন লাগানোর অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি বলেন, “গ্রামের লোকেদের নামে মিথ্যে অভিযোগ করছে মাইতি পরিবার। ওরা নিজেরাই আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।”
গোটা ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। এগরা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। গ্রামবাসী মাইতি পরিবারের বিরুদ্ধে এগরা থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। |
|
|
|
|
|