|
|
|
|
অন্তঃসত্ত্বা ভবঘুরেকে হোমে পাঠাল পূর্বের জেলা প্রশাসন
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
অসহায়, অন্তঃসত্ত্বা ভবঘুরে এক মহিলার পাশে দাঁড়াল প্রশাসন। মহিষাদলের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আবেদনের প্রেক্ষিতে বছর পঁয়ত্রিশের ওই মহিলাকে রাখা হল কাঁথির একটি হোমে। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক অন্তরা আচার্য বলেন, “স্থানীয় মানুষ এমন গুরুত্বপূর্ণ মানবিক ভূমিকা নিয়ে প্রশাসনের পাশে দাঁড়ালে অসহায় মানুষরা উপকৃত হবেন। প্রশাসন ওই মহিলার যাবতীয় দায়ভার গ্রহণ করছে।”
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিষাদলের সতীশ সামন্ত হল্ট স্টেশন থেকে পূর্ব শ্রীরামপুর পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকার গত সাত-আট বছর ধরে ওই মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে দেখে আসছেন স্থানীয় মানুষ। তাঁরা কখনও তাঁকে খাবার দিয়ে কখনও বা পোশাক দিয়ে সাহায্য করতেন। স্থানীয় বাসিন্দা তথা ‘অনামিকা’ ক্লাবের সদস্য মনোরঞ্জন মহাপাত্র বলেন, “যাওয়া আসার পথে ওই মহিলাকে প্রায়ই দেখতাম। সম্প্রতি তাঁর মানসিকতা ও চেহারায় অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করি। অন্তঃসত্ত্বা বলে সন্দেহ হওয়ায় তাঁর পাশে দাঁড়ানোর জন্য ক্লাবে আলোচনা করি।” ক্লাবের সম্পাদক সুজিত জানা বলেন, “আমরা গোটা বিষয়টি স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে জেলাশাসককে জানিয়েছিলাম। প্রশাসন চটজলদি ব্যবস্থা নেওয়ায় আমরা আভিভূত।”
উল্লেখ্য, জেলাশাসকের নজরে বিষয়টি আসার পর তিনি মহিষাদলের বিডিও তন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়কে ওই মহিলাকে হোমে রাখার নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গেই সুসংহত শিশুবিকাশ প্রকল্পের জেলা প্রকল্প আধিকারিক গৌতম দাসকে নির্দেশ দেন ওই মহিলার খাদ্য ও চিকিৎসার বন্দোবস্ত করতে এবং নিয়মিত খোঁজখবর রাখতে। বিবেকানন্দ লোকশিক্ষা নিকেতন পরিচালিত ওই ‘স্বাধার’ হোমের সুপার বন্দনা মাইতি বলেন, “আমার হোমের ওই নতুন অতিথির নাম দিয়েছি নমিতা। তাঁর গর্ভজাত নতুন অতিথির অপেক্ষায় রয়েছি আমরা।” তিনি জানান, নমিতাকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করে নতুন কাপড় দেওয়া হয়েছে। বুধবারই তাঁকে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয়। জানা গিয়েছে, তিনি আট মাসের অন্ত্বসত্ত্বা। চন্দনাদেবী বলেন, “চিকিৎসকের কাছ থেকে ফিরে খুব খুশি নমিতা। নিজের পেটে হাত বুলিয়ে বিড়বিড় করে সন্তানকে আদর করেছে ও।” |
|
|
|
|
|