|
|
|
|
মাদক-কফি খাইয়ে ট্রেনে লুঠ তিন জনের
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
কিছু দিন আগেই হয়েছিল নীলাচল এক্সপ্রেসে। এ বার হল মুম্বই-হাওড়া গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেসে। ট্রেনে অপরিচিতের কাছে মাদক মেশানো চা ও কফি খেয়ে ফের সর্বস্ব খোওয়ালেন তিন যাত্রী। বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ ওই তিন যাত্রীকে খড়্গপুর স্টেশনে উদ্ধার করে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে রেল পুলিশ। তিন জন হলেন, নদিয়ার শান্তিপুরের শেখ মামিন, ওড়িশার বালেশ্বরের অনন্ত শেঠি ও বনমালী শেঠি।
রেল ও রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ছ’টা নাগাদ মুব্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস থেকে ডাউন গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেসের এস-৯ কামরায় ওঠেন ওই তিন যাত্রী। ওই একই স্টেশন থেকে তাঁদের সহযাত্রী সেজে ট্রেনে ওঠেন বেশ কয়েকজন যুবক। কামরার এক প্রান্তে ৯ নম্বর আসনে একা ছিলেন শেখ মামিন। শেষ দিকে ছিলেন অনন্ত শেঠি ও তাঁর ভাই বনমালী। দু’টি ভিন্ন দলে ভাগ হয়ে ওই তিন যাত্রীর সঙ্গে আলাপ জমায় দুষ্কৃতীদল। ক্ষণিকের আলাপেই মোবাইল গান শোনা থেকে দুপুরের খাওয়া হয় একসঙ্গে। রাতে নৈশভোজের আগে কফি খাওয়ার প্রস্তাব দেয় দুষ্কৃতীরা। হাসপাতালের শয্যায় জড়ানো গলায় বনমালী শেঠি বলেন, “গল্প চলছিল। কথা বলতে বলতেই ওদের দেওয়া কফি খেলাম। আর কিছু মনে পড়ছে না।” বনমালী ও তাঁর দাদার মোবাইল, বাড়ির আত্মীয়দের জন্য আনা নতুন জামাকাপড়, নগদ আড়াই হাজার টাকা খোওয়া গিয়েছে। মামিনেরও মোবাইল থেকে নগদ প্রায় আট হাজার টাকা-সমেত জামাকাপড়ের ব্যাগ উধাও।
দূরপাল্লার ট্রেনে এই ধরনের ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও মাদক খাইয়ে লুঠের বহু ঘটনা ঘটেছে চলন্ত ট্রেনে। গত ৩ জানুয়ারি নীলাচল এক্সপ্রেস থেকে এভাবেই আইআইটি-র এক গবেষক ছাত্র-সহ দু’জনকে উদ্ধার করে খড়্গপুর রেল পুলিশ। খড়্গপুরের ডিআরএম গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অধিকাংশ ঘটনাই বিলাসপুর, মোগলসরাই এলাকায় ঘটছে। আমাদের ডিভিশনের জিআরপি ও আরপিএফ কড়া নজর রাখছে। আমরা অপরিচিত সহযাত্রীর থেকে কিছু না খাওয়ার জন্য এত প্রচার করি। তবুও যাত্রীদের বোধোদয় হচ্ছে না কেন, বুঝতে পারছি না।”
|
|
|
|
|
|