|
|
|
|
চাষজমিতে প্রৌঢ়ের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
চাষজমি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় এক প্রৌঢ়ের মৃতদেহ উদ্ধার হল। বুধবার দুপুরে বেলদার কাশমুলিতে দেহটি উদ্ধার হয়। মৃত সুধীর ঘোড়ইয়ের(৫৫) বাড়ি এগরার পটাশপুর থানার মোস্তাফাপুরে। পেশায় চাষি সুধীরবাবু মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে কাশমুলি বাজারে যাবে বলে বেরিয়েছিলেন। এরপর আর বাড়িতে ফেরেননি। এ দিন দুপুরবেলায় মাঠের মধ্যে দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। মৃতদেহের মাথায় ও গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। খবর যায় পুলিশের কাছে। এলাকাটি কোন থানার অন্তর্গত না বুঝে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এগরা ও বেলদা থানার পুলিশ। শেষমেশ বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ জোড়াগেড়িয়া ফাঁড়ির পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। আনা হয় পুলিশ কুকুর। পরে বাবাকে খুন করা হয়েছে বলে বেলদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের ছেলে রতন ঘোড়ই।
এ দিনই বিকেলে নাগাড়ায়ণগড়ের কুনারপুরের সাইবনি গ্রামে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। দেবব্রত বেরা (২৪) নামেওই যুবকের বাড়ি গ্রামেই। স্থানীয় শীতলা মন্দিরের পিছনে একটি গাছে মাফলারের ফাঁসে ঝুলছিল দেহটি। খবর পেয়ে ছুটে আসেন পরিবারের লোকেরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত শনিবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিলেন দেবব্রত। তবে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেনি পরিবার। এ দিন দেহ উদ্ধারের পরে মৃত যুবকের কাকা অজয় বেরা বলেন, “ভাইপো শনিবার থেকে বাড়িতে আসেনি। আমরা ভেবেছিলাম কোথাও গিয়েছে। তাই থানায় জানাইনি। কিন্তু ও আত্মহত্যা করতে পারে না। তা ছাড়া রাস্তার বিভিন্ন জায়গার রক্ত দেখা গিয়েছে। আমাদের ধারণা ওকে খুন করে এখানে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।” এ দিন এলাকাবাসীর দাবিতে পুলিশ কুকুর এনে তদন্ত শুরু করেন মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সন্তোষকুমার মণ্ডল। যদিও ওই যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন বলেই পুলিশের ধারণা।
|
|
|
|
|
|