চার দিন ধরে লিঙ্ক বন্ধ বিএসএনএলের। তার জেরে বন্ধ হয়ে পড়েছে টেলিফোন, ইন্টারনেটের মতো পরিষেবা। মোবাইল বা ল্যান্ড লাইনে পরিষেবা থমকে যাওয়ার পাশাপাশি পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, বিমা সংস্থা, সাইবার কাফেগুলিতেও। টাকা তোলা যাচ্ছে না এটিএমগুলি থেকে। ফলে, সমস্যায় জেরবার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
গত চার দিন ধরে এমনই অবস্থা উলুবেড়িয়া শহরে। বিএসএনএলের পরিষেবার উপর নির্ভরশীল সমস্ত পরিষেবা চার দিন ধরে সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ। আজকের মোবাইল, ইন্টারনেটের যুগে হঠাৎ করে পরিষেবা এ ভাবে থমকে যাওয়ায় বিপদেও পড়েছেন অনেকেই।
আরামবাগের কুলগাছিয়ার বাসিন্দা ঝন্টু দাসের স্ত্রী অসুস্থ হয়ে ভর্তি রয়েছেন উলুবেড়িয়ার একটি নার্সিংহোমে। এটিএম থেকে টাকা তুলতে না পারার জন্যে নার্সিংহোমের বিল মেটাতে পারছেন না তিনি। তাঁর কথায়, “গত তিন দিন ধরে ঘুরছি, অথচ টাকা থাকতেও এই সমস্যার জন্য তুলতে পারছি না।” উলুবেড়িয়া শহরের বাসিন্দা রীতা দাসও পড়েছেন এ রকমই আরেক সমস্যায়। তিনি বলেন, “ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করার পর টাকা তুলতে না পেরে বই কিনতে পারছি না।” সাইবার কাফে বন্ধ থাকায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে রেল, বিমানের টিকিট বুকিং সিস্টেম। ল্যান্ড লাইন কাজ না করায় অচল হয়ে পড়েছে বেশ কিছু জরুরি পরিষেবা। কিছুটা হলেও সমস্যায় থানা।
কিন্তু কেন হল এ রকম অবস্থা?
বিএসএনএলের উলুবেড়িয়া শাখার বিভাগীয় আধিকারিক অক্ষয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মুম্বই রোডে কাজের সময় কোনও ভাবে আমাদের কেব্ল কেটে যাওয়ায় এই সমস্যা হচ্ছে। প্রথম দিকে এটা বোঝা যায়নি। এখন আমরা জায়গাটা চিহ্নিত করেছি এবং দ্রুততার সঙ্গে সারাইয়ের কাজ চলছে।” অন্য দিকে, মুম্বই রোডের কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারি সংস্থার আধিকারিক সুনীল খারে বলেন, “কাজ করতে গিয়েই কোনও ভাবে এই ঘটনা ঘটেছে। তবে আমরা সব রকম ভাবে বিএসএনএলের সঙ্গে সহযোগিতা করছি যাতে দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়।” |