শ্রীরামপুর কলেজের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে কটূক্তি করায় এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার ধৃত মনজিৎ সাহাকে শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে ১০ দিন জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তৃণমূল যুবার নেতা হিসাবেই পরিচিত মনোজিৎবাবু। যদিও সংগঠনের হুগলি সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, মাস ছ’য়েক আগেই তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শান্তনুবাবুর কথায়, “নানা গণ্ডগোলে মনজিতের জড়িত থাকার বিষয়টি আমাদের কানে আসছিল। পুলিশ-প্রশাসন সহ সর্বত্র আমরা চিঠি দিয়ে জানিয়েছি, উনি আমাদের সংগঠনে নেই। মাস ছয়েক আগেই বহিষ্কৃত হয়েছেন। দল তাঁকে জড়িয়ে কোনও ঘটনার কোনও দায় নেবে না।” পুলিশ ও দলীয় সূত্রের খবর, মনজিতের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। কলেজের ছাত্রীরা সম্প্রতি শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে মনজিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। মঙ্গলবার ফের ছাত্রীকে কটূক্তির ঘটনায় জড়াল তাঁর নাম। দিল্লি রোড-লাগায়ো এক জায়গায় মদ্যপ অবস্থায় এক মহিলাকে মোটরবাইকে তোলা নিয়ে দু’দলের মধ্যে মারপিটে জড়িয়ে পড়েন তিনি। সে সময়ে দলেরই একাধিক নেতার নাম করে পুলিশের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন। তখন পিয়ারাপুর ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাটিতে হস্তক্ষেপ করে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।
|
রামমোহন মেলা শুরু হল খানাকুলে। সোমবার বিকেলে রাজা রামমোহন রায় কলেজ সংলগ্ন মাঠে মেলার উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী মলয় ঘটক। সাত দিনের এই মেলায় প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি থাকছে আলোচনা সভা, প্রদর্শনী। মেলায় প্রায় ৩০০ স্টল হয়েছে। প্রথম দিন থেকেই মেলা জমজমাট। রাজা রামমোহন রায়ের জন্মস্থান এখানেই। মন্ত্রীর আশ্বাস, মেলার শ্রীবৃদ্ধি করতে তিনি রাজ্য সরকারের কাছে দরবার করবেন। মেলার সূচনা হয় ১৯৭৪ সালে। কিন্তু নানা কারণে মাঝে কয়েক বছর বন্ধ ছিল। তবে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে চলছে ২০০২ সাল থেকে।
|
বাগনান গণসংস্কৃতি মঞ্চের উদ্যোগে সংস্কৃতি উৎসব হয়ে গেল বাগনান হাইস্কুল প্রাঙ্গণে। তিন দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে অঙ্কন, নৃত্য, আবৃত্তি ইত্যাদি বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় যোগ দেয় পাঁচ শতাধিক প্রতিযোগী। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন প্রাক্তন অধ্যাপক সুপ্রিয় ধর। উপস্থিত ছিলেন হারল্যান হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ভাস্কর চন্দ্র আদক-সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।
|
আট দিনব্যাপী আমতা বসন্তপুর উৎসব হয়ে গেল বসন্তপুর হাইস্কুল প্রাঙ্গণে। স্বাধীন সঙ্ঘের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ছিলেন প্রধান শিক্ষক শ্যামলকুমার পাল-সহ অনেকে।
|
নির্মীয়মাণ রান্নাঘরের দেওয়াল ভেঙে পড়ল আরামবাগের গার্লস জুনিয়র বেসিক স্কুলে। মিড-ডে মিল প্রকল্পের টাকায় তৈরি হচ্ছিল ওই স্কুলের রান্নাঘরটি। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ এই ঘটনায় কেউ অবশ্য চোট পায়নি। যদিও নিম্নমানের মালপত্র ব্যবহার করে নির্মাণের অভিযোগে পরে সরব হন স্থানীয় মানুষ ও অভিভাবকদের একাংশ। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তদন্তের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ ওঠে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট স্কুলের পরিচালন কমিটির সম্পাদক গৌতম গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নিম্নমানের মালপত্র দেওয়ার কোনও প্রশ্ন উঠছে না। জানা গিয়েছে, এক আনকোরা মিস্ত্রি কর্মী ভুল করে বাঁশের ঠেকনা সরিয়ে দিতেই বিম-সহ দেওয়ালটি ভেঙে যায়। সেটি নতুন করে নির্মাণ করা হবে।” |