কলেজে নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নিয়ে বুধবার শ্রীরামপুর কলেজে দু’দল ছাত্রের মধ্যে বচসা মারপিটকে কেন্দ্র করে তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিবাদমান ৪ ছাত্রকে গ্রেফতার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ধৃতদের ব্যক্তিগত জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়।
চলতি মাসের ২৮ জানুয়ারি শ্রীরামপুর কলেজে ছাত্র সংসদের নির্বাচন। তারই প্রস্তুতি হিসেবে তিন ধরে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার কাজ চলছে সেখানে। বুধবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং এসএফআই সমর্থকদের বচসায় বাধে। ক্রমে তা থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কলেজ চত্বর। দু’পক্ষের মধ্যে এক সময় মারামারি বেধে যায়। মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসা ছাত্রেরা ছোটাছুটি শুরু করে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত কলেজে পৌঁছয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাজ এ দিন চালু ছিল।
ছাত্র সংসদের নির্বাচনকে ঘিরে হুগলির বিভিন্ন কলেজে গণ্ডগোলের ঘটনা ঘটছে। এর আগে তারকেশ্বরের চাঁপাডাঙ্গা এবং গোঘাটের একটি কলেজের সমস্যার সৃষ্টি হয়। তারপরই জেলা প্রশাসন ঠিক করে, ধাপে ধাপে কলেজে নির্বাচন প্রক্রিয়া মিটিয়ে ফেলা হবে। এক একটি মহকুমা ধরে কলেজ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করা হয়। পুলিশ কর্তাদের যুক্তি, প্রয়োজনে একটি জায়গার সমস্যা মেটাতে বাড়তি পুলিশ কর্মী নিয়োগ করা যেতে পারে। কোনও একটি ঘটনা ঘটলে ব্যবস্থাও নেওয়া সহজ হয়।
জয়ী টিএমসিপি। প্রায় ৩৫ বছর পর পাঁচলা গঙ্গাধরপুর কলেজ হাতছাড়া হল ছাত্র পরিষদের। ৪২টি আসনের কোনওটিতে টিএমসিপি ছাড়া আর কোনও সংগঠন মনোনয়ন জমা দেয়নি। টিএমসিপির জেলা সভাপতি অনুপম ঘোষ বলেন, “বিরোধী সংগঠনগুলি প্রার্থীই খুঁজে পায়নি।” যদিও জেলা ছাত্র পরিষদ নেতা শুভ্রজ্যোতি দাস বলেন, “আমাদের কর্মীদের হুমকি দিয়ে, চাকরির টোপ দেখিয়ে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।” এসএফআইয়ের হাওড়া জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ ঘোষের দাবি, “ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে পরিচয়পত্র কেড়ে নিয়েছিল টিএমসিপি। তাই মনোনয়ন দেওয়ার সুযোগ পাইনি।” |