|
|
|
|
সেনাপ্রধানের কনভয়ে আটক, ক্ষিপ্ত জয়রাম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি
৮ জানুয়ারি |
সেনাপ্রধানের কনভয় যাবে। তাই কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশের গাড়িও মাঝপথে থামিয়ে দিল সেনা পুলিশ। আর তাতেই ভিভিআইপি নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কার্যত জেহাদ ঘোষণা করেছেন জয়রাম। এমনকী প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির কনভয়েও গাড়ির সংখ্যা কমিয়ে অর্ধেক করে দেওয়ার দাবি তুললেন তিনি।
জয়রাম আজ সকালে তাঁর কৃষি ভবনের দফতর থেকে তিনমূর্তি লেনে একটি বৈঠকের জন্য যাচ্ছিলেন। পথে সেনা পুলিশের জিপ তাঁর গাড়ি রুখে দেয়। সেনাপ্রধান চলে যাওয়ার পর ছাড়া হয় তাঁর গাড়ি। এর পরেই জয়রাম সাংবাদিকদের বলেন, “নিরাপত্তার নামে এই ভণ্ডামি বন্ধ হওয়া উচিত। দিল্লির রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ করার কথা ট্রাফিক পুলিশের। অথচ ছড়ি ঘোরাচ্ছে সেনা পুলিশ! এ যেন রাষ্ট্রের মধ্যে রাষ্ট্র, তার মধ্যে রাষ্ট্র! এ সব বন্ধ করতে হবে।”
গাড়িতে লালবাতি লাগানো নিয়ে ক’দিন আগেই সুপ্রিম কোর্ট কিছু নিষেধাজ্ঞা জারির প্রস্তাব দিয়েছে। এর পর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়ে অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়ে দেন, তিনি তো বটেই, তাঁর মন্ত্রিসভার কোনও সদস্যই লালবাতি লাগানো গাড়িতে চড়বেন না। এ কথা অবশ্য বলা যাবে না যে জয়রাম তাঁদের অনুসরণ করছেন। কারণ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়েও জয়রাম গাড়িতে লালবাতি ব্যবহার করেন না। তাঁর নিরাপত্তার জন্য কোনও পুলিশ কর্মী বা দেহরক্ষীও সঙ্গে থাকেন না। এমনকী সন্ধের পরে কৃষি ভবনের দফতর থেকে লোধি রোডের বাসভবন পর্যন্ত একাই হাঁটতে হাঁটতে যান জয়রাম। প্রায় চল্লিশ মিনিট সময় লাগে তাতে। চলাফেরায় এই রকম আম আদমি হলেও জয়রামের ক্ষোভ, এ ভাবেই এক দিন বাড়ি ফেরার পথে বায়ুসেনা-প্রধানের কনভয়ের জন্য তাঁকে আটকে দেওয়া হয়েছিল। এক দিন ভুগতে হয়েছে নৌসেনা-প্রধানের কনভয়ের জন্যও।
রীতিমতো ক্ষিপ্ত জয়রাম আজ বলেন, “এ ব্যাপারে প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনিকে আমি লিখিত অভিযোগ জানাব। অ্যান্টনি নিজেও কোনও কনভয় ব্যবহার করেন না। অথচ তাঁর অধীনস্থ সেনাকর্তারা যা ইচ্ছা তাই করবেন!”
জয়রামের মতে, এ ব্যাপারে কেউ কোনও দিন প্রশ্ন তোলেনি বলেই কিছু হয়নি। দিল্লিতে কেন সেনাপ্রধানের এই নিরাপত্তা ও কনভয় প্রয়োজন তার জবাবও দিতে হয়নি। এ বার সেই প্রশ্ন তোলার সময় এসেছে। এবং তিনিই সেটা করবেন। |
|
|
|
|
|