|
|
|
|
বাম-নীতীশ সমঝোতার সম্ভাবনা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা
৮ জানুয়ারি |
আগামী লোকসভা ভোটে বিহারে জেডিইউ-এর সঙ্গে সিপিএম-সিপিআইয়ের নির্বাচনী সমঝোতার সম্ভাবনা ক্রমশ উজ্জ্বল হচ্ছে। নীতীশ কুমার এবং জেডিইউ সভাপতি শরদ যাদব ইতিমধ্যেই সিপিএম এবং সিপিআইয়ের শীর্ষ নেতাদের এই নিয়ে আলোচনা শুরু করেন। নীতীশের দলের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতায় যেতে তাঁরাও যে আগ্রহী, শীর্ষ নেতাদের সে কথা জানিয়েও দেন দুই বাম দলের রাজ্য নেতারা। যদিও বিহারে সিপিএম-সিপিআই এই মুহূর্তে যাদের সঙ্গে রয়েছে সেই সিপিআই (এমএল) বা মালে নেতৃত্ব স্পষ্ট জানিয়েছেন, নীতীশ কুমারের ইতিহাসের কথা মাথায় রেখেই তাঁদের পক্ষে জেডিইউ-এর সঙ্গে কোনও সংশ্রব রাখা সম্ভব নয়।
লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের রাজনীতি এমন মাত্রায় পৌছচ্ছে যে নীতীশ কুমার ইতিমধ্যেই এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “একাধিক ফ্রন্টের সঙ্গে আমাদের লড়াই করতে হচ্ছে।” তাদের মোকাবিলায় রাজ্যের প্রধান দল যে পাল্টা জোটের পরিকল্পনা করছে তারও ইঙ্গিত দিয়েছেন নীতীশ। বর্তমান পরিস্থিতিতে নীতীশ কুমার অ-কংগ্রেসি এবং অ-বিজেপি দলগুলির মধ্যে বিহারে বামদলগুলিকে কাছে পেতে চাইছেন। বামপন্থীদের ভাবমূর্তি বিহারের জনমানসে এখনও যে অন্য বার্তা দেয় তা স্পষ্টই মেনে নিচ্ছেন জেডিইউ-এর শীর্ষ নেতারাও। সেই কারণেই সাংগঠনিক দিকে থেকে রাজ্যে সিপিএম-সিপিআই দুর্বল হলেও বিকল্প হিসেবে নীতীশরা চান বামপন্থীদের সঙ্গে সমঝোতায় যেতে।
সম্প্রতি সিপিএমের রাজ্য কমিটির দু’দিনের বৈঠকে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্তও হয়েছে। সেই বৈঠকে সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য এস আর পিল্লাই এবং কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হান্নান মোল্লা ছিলেন। হান্নান মোল্লা বলেন, “বাম দলগুলির সঙ্গে সমঝোতার ব্যাপারে নীতীশ কুমাররা আগ্রহী। নীতীশের বিজেপিকে ত্যাগ করা, বামেদের ডাকা অসাম্প্রদায়িক কনভেনশনে যোগ দেওয়া এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোর্চা গঠনে সায় না দেওয়ার মধ্যে দিয়ে আমাদের একটা ধারণা তৈরি হয়েছে। আমরা এই নিয়ে আলোচনার চালাতে পারি বলে দলের রাজ্য কমিটি জানিয়েছে।” ২১ জানুয়ারি সিপিএম পটনায় কেন্দ্রীয় সমাবেশ করবে বলে জানান হান্নান মোল্লা। |
|
|
|
|
|