একটি চুরির ঘটনায় ফের তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত। বুধবার বিকেলে কালনা ২ ব্লকের বাদলা এলাকার ওই চুরির ঘটনায় ফের তদন্তের নির্দেশ দেন এসিজেএম আদালতের বিচারক মধুমিতা রায়। অভিযোগ, ২০১৩ সালের ৩ মে বহরকুলি গ্রামের বাসিন্দা দিলীপকুমার কোলে সিঙ্গেরকোণ শাখার একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ক থেকে ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা তোলেন। এর মধ্যে ১০ হাজার টাকা ওই ব্যাঙ্কেরই অন্য অ্যাকাউন্টে জমা দেন। বাকি টাকার মধ্যে পাঁচ হাজার টাকা পকেটে এবং বাকি ১ লক্ষ টাকা একটি কাপড়ের ব্যাগে রাখেন। ওই ব্যাগে টাকা ছাড়াও একটি সচিত্র পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স, এটিএম কার্ড ও কয়েকটি পাস বই ছিল বলেও তাঁর দাবি। ১১টা নাগাদ ব্যাগটি সাইকেলে ঝুলিয়ে সিঙ্গেরকোণ ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে কাজে যান তিনি। সেখান থেকে বাদলা গ্রামে যেতে গিয়ে দেখেন টাকার ব্যাগটি নেই। ওই দিনই কালনা থানায় ্ভিযোগ দায়ের করেন তিনি। দিলীপবাবুর আইনজীবী পার্থসারথী কর বুধবার জানান, মামলাটির তদন্তকারী অফিসার ছিলেন কালনা থানার সাব-ইন্সপেক্টর সুভাষ পাল। ২০১৩ সালের ৩০ জুন পুলিশ আদালতকে জানিয়ে দেয় মামলাটির তদন্ত করে কিছু মেলেনি। তাই ওটি ক্লোজ করে দেওয়া হোক। ৭ নভেম্বর এসিজেএম আদালত দিলীপবাবুকে সমন পাঠিয়ে ডেকে পাঠায়। আদালতকে তিনি জানান, তদন্তে সন্তুষ্ট নন তিনি। তাঁর দাবি, পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ খুঁটিয়ে দেখেনি, কাউকে গ্রেফতার বা জেরাও করেনি। পার্থসারথীবাবু বলেন, “দিলীপবাবুর আবেদনের ভিত্তিতে এ দিন আদালত ঘটনাটি ফের তদন্তের নির্দেশ দেয়। এ বছরের ১০ জুলাইয়ের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে কালনা থানার ওসিকে।”
|
টহল দেওয়ার সময়ে খাটুন্দি সেতুর কাছে থেকে দুই দুষ্কৃতীকে ধরেছে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতের ঘটনা। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম বেলু শেখ ও মিঠুন শেখ। বাড়ি কেতুগ্রাম থানার কাচরা গ্রামে। এদের কাছ থেকে দু’টি পাইপগান ও দু’রাইন্ড গুলি মিলেছে। বুধবার এদের কাটোয়া এসিজেএম আদালতে তোলা হলে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। |