কর্তাদের ছিনতাইয়ের খবর না জানিয়ে বিভাগীয় তদন্তের মুখে পড়েছেন থানার ওসি ও সার্কল ইন্সপেক্টার।
সোমবার রাতে ভাতারের নসিগ্রামের কাছে ডাম্পার দিয়ে পথ আটকে নানা গাড়ির আরোহীদের থেকে প্রায় ৪০ হাজার টাকা নগদ, আংটি, সোনার গয়না ইত্যাদি ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীদের দাবি, রাতভর ওই রাস্তা আটকে যান রুখে চলেছে ছিনতাই।
এমনকী রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার সময়েও রেহাই মেলেনি দুষ্কৃতীদের হাত থেকে। তবে রাতভর ঘটনা ঘটলেও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেনি বলে অভিযোগ। পুলিশি নিষ্কৃীয়তার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে ওই রাস্তা অববোধ করে বিক্ষোভ দেখান ভুক্তোভোগীরা। ভাতারের ওসি জুলফিকার আলি ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিনতাইকারীদের গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অবরোধ ওঠে।
এসপি সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, “ওই ঘটনাটি ঘটলেও ওসি বা সার্কল ইন্সপেক্টার খবরটি জেলার পদস্থ কর্তাদের দেননি। আমি খবর পাইনি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারও খবর পাননি। এই গাফিলতির কারণে ওসি জুলফিকার আলি ও সার্কল ইন্সপেক্টর সমরেশ দে-কে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছিল। ঘটনার নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে শোকজের উত্তরও দিয়েছেন ওঁরা। তবে তাতে আমরা সন্তুষ্ট নই। তাই ওই দু’জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
এ ব্যাপারে সমরেশবাবু বা জুলফিকার সাহেব অবশ্য কোনও মন্ত্রব্য করতে চাননি। এসপি বলেন, “ওই ঘটনায় জড়িত ছিনতাইকারীদেরও অবিলম্বে খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।” |