পিকনিকে গিয়ে দু’দলের মারামারিতে জখম হন এক যুবক। পরে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে কলকাতার এক হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার সকালে অস্ত্রোপচার হওয়ার আগে সেখানেই মারা যান তিনি। মৃত ওই যুবকের নাম মাধব পাল (১৯)। প্রথম বর্ষের ছাত্র তিনি। বিষয়টিতে ছ’জনের নামে অভিযোগও দায়ের হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার ভাগীরথী ঘেঁষা গোবিন্দপুর চরে পিকনিক করতে গিয়েছিল মাধবরা। সেখানে পানুহাটের পশ্চিমপাড়ার একজন যুবকও পিকনিক করছিল। পিকনিক শেষে মাধব ও তাঁর সঙ্গী কৌশিক দত্ত সাইকেলে রান্নার সামগ্রী নিয়ে বাড়ি ফেরার সময়ে পশ্চিমপাড়ার ওই যুবকেরা পথ আটকে দাঁড়ায় বলে অভিযোগ। তাদের মধ্যে বচসা বাধে। পরে মাধবকে রাস্তায় ফেলে তাঁরা বাঁশ দিয়ে পেটায় বলে অভিযোগ। কৌশিকের হাত ভাঙে ও মাধবের মাথায় ও ঘাড়ে আঘাত লাগে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় সুকান্তপল্লির যুবক বিশ্বজিৎ ঘোষাল কাটোয়া থানায় বুধবার পানুহাট পশ্চিমপাড়ার ছ’জনের নামে অভিযোগও দায়ের করেছেন।
মাধবের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেলে ঘটনার পরে মাধবকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। সোমবার সকালে মাধব অসুস্থ হয়ে পড়লে ফের তাঁকে মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বর্ধমান মেডিক্যালে পাঠানো হয় তাঁকে। সেখানে দেখা যায় মাধবের মাথার ভেতর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। অস্ত্রোপচারের জন্য কলকাতার একটি হাসপাতালে পাঠানো হয় তাঁকে। মঙ্গলবার সকালে অস্ত্রোপচার হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু তার আগেই মৃত্যু হয় মাধবের। বুধবার কলকাতাতেই ময়নাতদন্ত হয়। মাধবের পরিবারের দাবি, রবিবার রাতে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকেরা রোগ ধরতে পারলে হয়তো অকালে প্রাণটা যেত না ছেলেটার। |