যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য ও সুরক্ষা এবং স্টেশন লাগোয়া এলাকাগুলির উন্নয়নের দাবি জানালেন উপদেষ্টা কমিটির সদস্যেরা। পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের স্টেশনগুলিতে নানা প্রকল্পের রূপায়ণ চেয়ে সম্প্রতি ডিআরএমের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। নানা প্রস্তাবও দেন। ডিআরএম সঞ্জয় গেহেলটের আশ্বাস, সীমিত ক্ষমতার মধ্যে যেটুকু করা যায়, করা হবে।
রাতে ট্রেন থেকে নেমে আসানসোল স্টেশন থেকে বাড়ি ফিরতে যানবাহন না পাওয়া দূরদূরান্তের যাত্রীদের কাছে একটি বড় সমস্যা। রাতে বাসের দেখা মেলে না। হয় মোটা টাকা দিয়ে গাড়ি ভাড়া করে রওনা হওয়া, অথবা স্টেশনেই শুয়ে-বসে রাত কাটাতে বাধ্য হন যাত্রীরা। ওই কমিটির সদস্যেরা প্রস্তাব দিয়েছেন, স্টেশন চত্বরে একটি প্রি-পেড ট্যাক্সির বুথ তৈরির ব্যবস্থা করা হোল রেলের তরফে। যদিও রেলের তরফে পাল্টা প্রস্তাব, আসানসোল শহরে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ট্যাক্সি চালানোর ব্যবস্থা করতে হবে পুরসভাকে।
ওই কমিটির সদস্যদের অভিযোগ, আসানসোল ডিভিশনের ৭২টি স্টেশনের বেশ কয়েকটিতে পর্যাপ্ত পানীয় জল ও আলোর ব্যবস্থা নেই। শৌচাগারেরও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেই। তাঁদের আরও অভিযোগ, কুলটি ও বরাকর স্টেশনে শৌচাগার রয়েছে। কিন্তু সেগুলি খোলা থাকে না। ফলে, যাত্রীরা ব্যবহার করতে পারছেন না। অভিযোগ, স্টেশন কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে বলেও কোনও লাভ হয়নি।
দুর্গাপুর স্টেশনের প্রস্তাবিত চলমান সিঁড়িটি দ্রুত তৈরিরও দাবি করা হয়েছে ওই বৈঠকে। এর সঙ্গে আসানসোল স্টেশনেও একটি চলমান সিঁড়ি তৈরির দাবি জানিয়েছেন কমিটির সদস্যেরা। তাঁরা আরও জানান, দূরদূরান্ত থেকে আসা যাত্রীদের জন্য আসানসোল স্টেশনে সে রকম ভাল মানের খাবারের দোকান নেই। অথচ, এই স্টেশনে কার্যত ২৪ ঘণ্টাই যাত্রী আনাগোনা চলে। তাঁদের কথা ভেবে স্টেশন চত্বরেই একটি আধুনিক ফুডপ্লাজা তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন কমিটির সদস্যেরা। কনসালটেটিভ কমিটির অন্যতম সদস্য সুভাষ রায়ের দাবি, “আমরা এর আগেও যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের এই সব সুবিধার ব্যবস্থা করার কথা রেল কর্তৃপক্ষকে অনেক বার জানিয়েছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। এ বার ইতিবাচক পদক্ষেপ না হলে রেল প্রতিমন্ত্রীর কাছে দরবার করব।”
আসানসোল স্টেশনে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যাপারে পুরসভা সব রকম সাহায্য করবে বলে আশ্বাস আসানসোলের ডেপুটি মেয়র অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়ের। উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের প্রস্তাবগুলি বিষয়ে কী ভাবা হচ্ছে, সে প্রশ্নে আসানসোলের ডিআরএম সঞ্জয় গেহেলট বলেন, “সব কিছু আমাদের হাতে থাকে না। সীমিত ক্ষমতার মধ্যে আমাদের যেটুকু করণীয়, তা করব।” ডিআরএম আরও জানান, এই ডিভিশনের বিভিন্ন স্টেশনের সামগ্রিক উন্নয়নের কাজ চলছে। আগের তুলনায় যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য ও সুরক্ষা অনেকটাই বেড়েছে বলে তাঁর দাবি। |