প্রতিবন্ধী শংসাপত্র দেওয়ার কাজে অনিয়ম ও হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার এই অভিযোগ তুলে উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৫০ জন প্রতিবন্ধী দুপুর ১টা থেকে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখান। হাসপাতাল সুপারকে ঘেরাও করে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে সাড়ে ৩টা নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। সুপার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “প্রতিবন্ধীদের অভিযোগ ও দাবি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” তাঁর দাবি চিকিৎসকের অভাব থাকায় ও চিকিৎসকেরা সরকারি কাজে বাইরে থাকায় প্রতিবন্ধীদের শংসাপত্র দেওয়ার কাজে মাঝেমধ্যে দেরি হয়। শংসাপত্র দেওয়ার কাজে অনিয়মের অভিযোগ ভিত্তিহীন। এ দিন রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মিলনীর উত্তর দিনাজপুর জেলা কমিটির নেতৃত্বে প্রতিবন্ধীরা আন্দোলনে সামিল হন। ওই কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, জেলায় বর্তমানে প্রায় ৪১ হাজার প্রতিবন্ধী থাকলেও তাঁদের মধ্যে ১৪ হাজার প্রতিবন্ধীর শংসাপত্র রয়েছে। বাকিরা দীর্ঘদিন ধরে আবেদন করেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনিয়ম ও হয়রানির কারণে শংসাপত্র পাচ্ছেন না। হাসপাতাল সূত্রের খবর, প্রতিবন্ধীদের শংসাপত্র দেওয়ার জন্য প্রতি মাসের ১০ ও ২৪ তারিখে হাসপাতালে একটি মেডিক্যাল বোর্ড বসে। ওই বোর্ডের ৫ জন চিকিৎসক সদস্য প্রতিবন্ধিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে শংসাপত্র দেওয়ার সুপারিশ করেন। বোর্ডের কোনও একজন চিকিৎসক সদস্য গরহাজির থাকলে ওই দিন মেডিক্যাল বোর্ড বাতিল করে দেওয়া হয়। রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মেলনীর জেলা সম্পাদক উত্তম গুহর অভিযোগ, তিন মাস ধরে আউটডোর ও মেডিক্যাল বোর্ডে চিকিৎসকদের একাংশের অনুপস্থিতিতে নিয়মিত মেডিক্যাল বোর্ড বসছে না। প্রতিবন্ধীরা শংসাপত্র নিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। মেডিক্যাল বোর্ডের তরফে মূক ও বধির এবং মানসিক প্রতিবন্ধীদের অডিওমেট্রিক ও আইকিইউ পরীক্ষা করে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হচ্ছে। অথচ ওই পরীক্ষাগুলি হাসপাতালে না হওয়ায় প্রতিবন্ধিদের শিলিগুড়ি বা কলকাতায় যেতে হচ্ছে। সঠিক সময়ে সংশাপত্র না পেয়ে অনেকে বিভিন্ন সরকারি সুবিধা ও প্রতিবন্ধী কোটায় চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত। |