জঙ্গলমহলে অশান্তির পর্বে যাঁরা নিখোঁজ হয়েছেন, তাঁদের পরিজনেরা সঙ্কটে। এমন আট জনের স্ত্রী প্রতিকার চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন।
মঙ্গলবার এক সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বেলপাহাড়ির আমলাশোল গ্রামে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে একটি সভাও করেন তিনি। সভাস্থলে প্ল্যাকার্ড হাতে হাজির ছিলেন আট মহিলা। তাতে লেখা ছিল, ‘হার্মাদ দ্বারা নিখোঁজ স্বামী ফেরত চাই’। বক্তৃতার সময়ে তা মমতার নজরে আসে। পশ্চিম মেদিনীপুরের এসপি তথা ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার ভারপ্রাপ্ত সুপার ভারতী ঘোষকে ডেকে তিনি বিষয়টি দেখার নির্দেশ দেন।
যাঁরা প্ল্যাকার্ড হাতে দাবি জানাতে এসেছিলেন, তাঁদের অন্যতম ওড়লি গ্রামের আশাপূর্ণা মাহাতো। তাঁর স্বামী উদয় মাহাতো এক সময়ে মাওবাদী সন্দেহে গ্রেফতার হয়েছিলেন। পরে মূলস্রোতে ফিরে আসেন। ছোটখাটো ঠিকাদারি করতেন। ২০১০ থেকে জঙ্গলমহল যখন অশান্ত হয়ে ওঠে, তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। আজও খোঁজ মেলেনি। আশাপূর্ণার চার বছরের ছেলে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। ভুলাভেদার নিখোঁজ ঠিকাদার প্রহ্লাদ মণ্ডলের স্ত্রী মীরা, নেগুরিয়া গ্রামের তৃণমূল কর্মী বাসুদেব পালের স্ত্রী অঞ্জলি, বিদরি গ্রামের বলরাম মুড়ার স্ত্রী সোমবারি সকলেই জানতে চান, তাঁদের স্বামীরা এখন কোথায়? তাঁরা কি আদৌ বেঁচে আছেন?
তৃণমূল সূত্রের খবর, দলের উদ্যোগেই ওই আট জনকে সভাস্থলে হাজির করা হয়েছিল। যদিও কারও হাতে তৃণমূলের পতাকা ছিল না। জঙ্গলমহলের ওই অশান্ত সময়ে অনেকেই নিখোঁজ হয়েছেন। এঁদের কাউকে মাওবাদীরা তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে, কাউকে সিপিএমের প্রতিরোধ বাহিনী গুম-খুন করেছে বলে অভিযোগ। |