দাদা, সত্যপ্রিয় ঘোষ সম্পর্কে বলতে গিয়ে চোখ ভিজে গেল কবি শঙ্খ ঘোষের। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার সাহিত্য পত্রিকা ‘সাগ্নিক’ এর বার্ষিক সংখ্যা প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসেছিলেন শঙ্খবাবু। কুড়ি বছর ধরে ওই পত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছে। এ বারই প্রথম ওই পত্রিকার তরফে দু’টি পুরস্কার দেওয়া হয়। তারই একটি সত্যপ্রিয় ঘোষ স্মৃতি সম্মান। সত্যপ্রিয় ঘোষ শঙ্খবাবুর বড়দা। পূর্ববঙ্গের বরিশালে জন্ম। চল্লিশের দশকে ‘পূর্বাশা’, ‘অগ্রণী’, ‘অরণী’কে ঘিরে কথাসাহিত্যে যে নতুন ইতিহাস রচনা শুরু হয় সত্যপ্রিয়বাবু ছিলেন তারই শরিক। ছোটগল্পে বিশেষ অবদানের জন্য এই সম্মান জানানো হল আসাদুল ইসলামকে। আসাদুলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন শঙ্খবাবু।
|
লেখকের হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন শঙ্খ ঘোষ। ছবি: শান্তনু হালদার। |
অন্য আর একটি পুরস্কার স্বদেশরঞ্জন হালদার স্মৃতি সম্মান জানানো হয় মফস্সলের নাট্যকর্মী প্রেমেশ্বর বারুইকে। বাংলাদেশের যশোহরে জন্ম স্বদেশরঞ্জনের। ১৯৪৭ সালে গোবরডাঙা হিন্দু কলেজের শিক্ষক স্বদেশবাবু কলেজ প্রতিষ্ঠার সময়ও ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। প্রেমেশ্বরের হাতে পুরস্কার দেন স্বদেশবাবুর স্ত্রী মঞ্জু হালদার।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন শঙ্খ ঘোষ এবং গোবরডাঙার চেয়ারম্যান সুভাষ দত্ত। সুভাষবাবুর পাশাপাশি বক্তব্য রাখেন সুচরিতা সামন্ত। বাঙালির ‘প্রবাস’ বিষয়ক সাগ্নিকের এ বারের সংখ্যা উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট সমাজকর্মী নিরঞ্জন হালদার। শঙ্খবাবু বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় ছোট পত্রিকাগুলির এই ধরনের আয়োজনের যথেষ্ট মূল্য এবং মর্যাদা আছে। সাগ্নিকের পক্ষে বিভাস দেব বলেন, “সংস্কৃতির দুই প্রান্তিক চর্চাকারীকে সম্মান জানাতে পেরে আমরা গর্বিত।” অনুষ্ঠানে গান গেয়েছেন প্রতাপ চক্রবর্তী এবং আর্যা ঘটক। কবিতা পড়েন প্রণব ঘোষ। উপস্থিত ছিলেন নিত্যপ্রিয় ঘোষ, অভ্র ঘোষ প্রমুখ। |