|
|
|
|
সংক্রান্তির আগে পিঠে-পুলিতে মজল শিলচর
উত্তম সাহা • শিলচর
৭ জানুয়ারি |
পৌষ সংক্রান্তির বাকি আরও সাত দিন। কিন্তু শিলচরে এখনই পিঠে-পুলির ধুম লেগেছে। সৌজন্যে শিলচর পুরসভা। গত দু’বছর ধরে পৌষমেলার আয়োজন করছেন পুর কর্তৃপক্ষ। গত বার মেলা ছিল দু’দিনের। আক্ষেপ থাকায় এ বার সময় বাড়িয়ে তিন দিন করা হয়।
প্রতি বিকেলেই জমে উঠেছে শিলচরের গাঁধী বাগ। কুয়াশামাখা পরিবেশে এক দিকে কাঠের আগুন জ্বলছে। আর সেই আগুনকে ঘিরে বিভিন্ন বয়সের মানুষের জটলা। কারও হাতে পুলি, পাটিসাপটা, মালপোয়া। কেউ কেউ আবার এই অঞ্চলের জনপ্রিয় চুঙ্গা পিঠের অনুরাগী। বাঁশের ভিতরে বিন্নি চাল পুরে, সেই বাঁশ পুড়িয়ে তৈরি হয় চুঙ্গা পিঠে। কেউ তা খান ক্ষীরের সঙ্গে, কেউ কেউ চুঙ্গা পিঠে হাঁসের মাংস দিয়ে খেতে ভালবাসেন। ক্ষীর বা মাংস মিলেছে মেলা প্রাঙ্গণেই। ছিল মুড়ির মোয়া, চিঁড়ে-তিল-নারকেলের নাড়ুও। মাটির ভাঁড়ে চাও টেনেছে বহু মানুষকে। পরিবেশপ্রেমী গার্গী ভট্টাচার্য গত ক’বছর ধরে প্লাস্টিকের কাপের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছেন। যেখানেই সুযোগ পান, চায়ের কেটলি আর মাটির ভাঁড় নিয়ে ছুটে যান। এসেছেন এই পৌষমেলাতেও।
পিঠে-পুলির স্টল দিয়ে খুব খুশি অরুন্ধতী দাস। তাঁর কথায়, “গত বছরও পৌষমেলা উপলক্ষে দোকান দিয়েছিলাম। কম বানিয়েছিলাম বলে দুঃখ হয়েছিল, আরও কেন বানালাম না! এ বার তাই বেশি করে বানিয়েছি। কিন্তু দুঃখটা তবুও রয়েই গেল। আরও থাকলে আরও বিক্রি হত।”
শুধু কি খাওয়াদাওয়া বা কেনাকাটা? চলে নাচগানও। লোকসংস্কৃতি ধরে রাখার প্রয়াস চালায় পুরসভা। প্রতিদিন মেলা ভাঙে ধামাইল গান আর নাচে। তালিকা ধরে শিল্পীদের ডাকা হলেও ধামাইলে সকলের অবাধ অংশগ্রহণ। ছোট-বড়, নারী-পুরুষ তালে তালে নাচেন। মেলা মাতিয়েছেন বাউল শিল্পী, বীরভূমের নক্ষত্রদাস বাউল এবং স্থানীয় চিত্তরঞ্জন বাউল।
পৌষমেলা কমিটির সম্পাদক পুরসদস্যা শম্পা ধর জানিয়েছেন, “এ বার মেলায় ৩২ জন স্টল দিয়েছেন। প্রায় সকলেই গৃহবধূ। পিঠে-পুলি বানিয়ে বিক্রি করে মেলার আনন্দ ভাগ করে নিয়েছেন।” |
|
|
|
|
|