|
|
|
|
অল্পবয়সিদের মধ্যে মাদকের ব্যবহারে শীর্ষস্থানে মেঘালয়
রাজীবাক্ষ রক্ষিত • গুয়াহাটি
৭ জানুয়ারি |
অল্পবয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যে হেরোইন-সহ অন্য মাদকের ব্যবহারের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মেঘালয়। তারপরই নাম রয়েছে নাগাল্যান্ড ও ত্রিপুরার। সম্প্রতি, একটি জাতীয় সমীক্ষার রিপোর্টে এমনই জানানো হয়েছে।
নয়াদিল্লির ‘অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস’ (এইম্স) এবং ‘ন্যাশনাল ড্রাগ ডিপেন্ডেন্স ট্রিটমেন্ট সেন্টার’ যৌথ উদ্যোগে ভারতের ২৭টি রাজ্য ও দু’টি কেন্দ্রশাসিত প্রদেশে ওই সমীক্ষা চালায়। তার রিপোর্টে জানানো হয়েছে, মিজোরামে মাদকাসক্ত বালক-কিশোরদের ৮৯ শতাংশ সিরিঞ্জের মাধ্যমে মাদক সেবন করে। শ্বাসের মাধ্যমে মাদক ব্যবহারে এগিয়ে ত্রিপুরা। হেরোইন-এ মেঘালয়।
সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, মেঘালয়ে ১৮ বছরের কম বয়সি মাদকাসক্ত কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে ২৭.৩ শতাংশই হেরোইনে আসক্ত। শতকরা হিসেবে তার পরেই রয়েছে পঞ্জাব (১৯.৩ শতাংশ), ঝাড়খণ্ড (১৬ শতাংশ), জম্মু ও কাশ্মীর (১৩.৩ শতাংশ), ওড়িশা (১১.৭ শতাংশ)। মিজোরামের পাশাপাশি সিরিঞ্জের মাধ্যমে মাদক ব্যবহারে এগিয়ে মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, পঞ্জাব, অরুণাচল প্রদেশ ও মণিপুর। সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরল, তামিলনাড়ু, গোয়া, ত্রিপুরা, হিমাচল প্রদেশ, গুজরাত ও বিহারে নাবালকদের মধ্যে মাদকের ব্যবহারের প্রবণতা সবচেয়ে কম।
মাদকাসক্ত অপ্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে তামাক ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে উত্তর-পূর্বের তিনটি রাজ্য। প্রথম স্থানে রয়েছে মেঘালয় (৯৬.৪ শতাংশ), দ্বিতীয় নাগাল্যান্ড (৯৫.৮ শতাংশ) ও তৃতীয় সিকিম (৯৩.১ শতাংশ)। তালিকার সবচেয়ে শেষে গোয়া (৩৬.৭ শতাংশ)।
নাবালক মদ্যপদের তালিকায় সবচেয়ে উপরে নাম রয়েছে কর্ণাটকের (৮৮.৯ শতাংশ)। এরপর রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ (৮৪.৭ শতাংশ), চণ্ডীগড় ও হরিয়ানা (৮০ শতাংশ)। দিল্লিতে এই হার সবচেয়ে কম বলে সমীক্ষায় দাবি জানানো হয়েছে। সেখানে ওই হিসেব মাত্র ২৩ শতাংশ। ‘মারিজুয়ানা’ বা পাতা থেকে তৈরি মাদকের ব্যবহারে প্রথম সারিতে রয়েছে উত্তরাঞ্চল (৭০ শতাংশ)। দ্বিতীয় হরিয়ানা, তৃতীয় মেঘালয়।
সমীক্ষাটি জানিয়েছে, ২৭টি রাজ্য ও দু’টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে নাবালকদের মধ্যে তামাক, মদ, মারিজুয়ানা, গাঁজা, ডেনড্রাইটের ব্যবহার যথেষ্ট বেশি। বড় শহর শুধু নয়, শহরতলি ও গ্রামেও অল্পবয়সীদের মধ্যে মাদকাসক্তি বাড়ছে। কারণ হিসেবে বাড়ি ও স্কুলের আশপাশে মাদকের সুলভতা, পড়াশোনায় ব্যর্থতা, বাড়ির চাপ, নেতিবাচক পরিবেশ এবং বন্ধুদের প্রভাবকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, শুধুমাত্র ফুটপাতবাসী বাচ্চারাই নয়, ডেনড্রাইট, সিরিঞ্জ ব্যবহারকারীর সংখ্যা মধ্যবিত্ত সমাজেও বেড়ে চলেছে। |
|
|
|
|
|