|
|
|
|
রাহুলের পরে পাক যোগের কথা বলল পুলিশও
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি
৭ জানুয়ারি |
মধ্যপ্রদেশে ভোটের প্রচারে গিয়ে রাহুল গাঁধী দাবি করেছিলেন, মুজফ্ফরনগরে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে পীড়িত যুবকদের জঙ্গি দলে ঢোকানোর চেষ্টা চালাচ্ছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। এতে বিজেপি ও বিভিন্ন মুসলিম সংগঠনের আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। এ বার দিল্লি পুলিশও জানাল, পাক যোগের অভিযোগ সত্য। আইএসআই মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা সত্যিই সেখানে সন্ত্রাসের জাল ছড়ানোর চেষ্টা করেছে। মুজফ্ফরনগরের দুই যুবক জেরার মুখে এ কথা জানিয়েছে। তবে এরা কেউ সংঘর্ষপীড়িত বা ত্রাণ শিবিরের বাসিন্দা নয় বলে দাবি দিল্লি পুলিশ ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের।
দিল্লি পুলিশের এই দাবি ঘিরে নতুন করে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে বিজেপি আজ আক্রমণ শানায় কেন্দ্র ও উত্তরপ্রদেশের অখিলেশ সরকারের উদ্দেশে। তাদের অভিযোগ, দেশের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে। লস্করের এই অভিযান নিয়ে সম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশ করা হোক। চাপে পড়ে সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খান সংখ্যালঘু সমর্থন ধরে রাখার লক্ষ্যে কটাক্ষ ছুড়েছেন রাহুলের উদ্দেশে। আজমের দাবি, আসলে কংগ্রেসের যুবরাজের কথা সত্যি প্রমাণ করতেই মাঠে নেমেছে দিল্লি পুলিশ।
কংগ্রেস নেতারা বলছেন, রাহুল সত্যি কথাই বলেছিলেন। তবে পুলিশ পুরোপুরি রাহুলের সুরে সুর না মেলানোয় এ নিয়ে হইহই করে মাঠে নামা সম্ভব হচ্ছে না তাঁদের পক্ষে। তবে বিজেপি-কে বিঁধতে ছাড়ছে না তারা। শাকিল আহমেদ বলেছেন, “সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ালেই আইএসআই এবং ভাজপা-ইরা আনন্দ পায়। আইএসআই ইসলামিক রাষ্ট্রগুলি থেকে ভারতীয় মুসলমানদের সাহায্য করার জন্য টাকা তোলে। আর সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ালে ভোট বাড়ে বিজেপি-র।”
মুজফ্ফরনগরে পাক চক্রান্ত ফাঁস করে দেওয়ার দাবি করলেও মূল চক্রী জাভেদ বালুচি এখনও অধরা। গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, পাকিস্তানে ঘাঁটি গেড়ে থাকা এই লস্কর জঙ্গি ফোনে মহম্মদ শাহিদ ও মহম্মদ রশিদ নামে দু’জন ইমামের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছিল। গত মাসে হরিয়ানার মেওয়াট থেকে ওই দুই ইমামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশের বিশেষ কমিশনার (স্পেশ্যাল সেল) এস এন শ্রীবাস্তব আজ জানান, শাহিদ-রশিদ মুজফ্ফরনগরের দুই যুবক লিয়াকত ও জামিরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। প্রথমে মসজিদের জন্য অর্থ সংগ্রহের কথা বললেও পরে অপহরণ করে টাকা তোলার কথা বলে। এর পরই লিয়াকতরা পিছিয়ে যায়। এই লিয়াকতদের আটক করা হলে তারা পুলিশের কাছে সব কথা স্বীকার করে নেয়। তারা জানিয়েছে ওই দুই ইমাম গত সেপ্টেম্বরে মুজফ্ফরনগরের সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের পর ৫-৬ বার সেখানে গিয়েছিল। সে সময় তারা মুজফ্ফরনগরের যুবকদের মৌলবাদী করে তোলার চেষ্টা করেছিল। ধর্মের দোহাই ও প্রচুর টাকার টোপ দিয়ে লস্করের সঙ্গে হাত মেলাতে বলা হয়। বিজেপি-র মুখপাত্র প্রকাশ জাভড়েকর বলেছেন, “এটা জাতীয় নিরাপত্তার সমস্যা। কিন্তু কাউকে ধরা যায়নি। কারও সন্ধান মেলেনি। এটা মেনে নেওয়া যায় না।” |
|
|
|
|
|