সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষে আহত হলেন চার জন তৃণমূল কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে, মঙ্গলবার সকালে ভাতার থানার কামারপাড়া বাসস্ট্যান্ডের কাছে। পুলিশ জানিয়েছে, দু’দলের মধ্যে সংঘর্ষে আহত চার জনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় বনপাশ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা আমেদ আলির অভিযোগ, এ দিন সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে একটি করে রাস্তা করার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। কর্মসূচিতে যোগ দিতে দলীয় সমর্থকেরা কামাড়পাড়া বাসস্ট্যান্ডে জড়ো হন। সেই সময়ে সিপিএমের কিছু সমর্থক লাঠি, রড নিয়ে তাঁদের আক্রমণ করে। এই ঘটনায় তৃণমূল পরিচালিত ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ জয়ন্ত হাটি-সহ মোট চার জন আহত হয়েছেন। তবে সিপিএমের ভাতার জোনাল কমিটির সম্পাদক বামাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সিপিএম নেতা সৈয়দ মহম্মদ মসিহর পাল্টা অভিযোগ, জয়ন্ত হাটির নেতৃত্বে তৃণমূল সমর্থকেরাই তাঁদের উপর আক্রমণ চালায়। তিনি বলেন, “স্থানীয় কামারপাড়ায় পুলিশের অনুমতি নিয়ে মিছিলের আয়োজন করেছিলাম। মিছিলের উপরেই হামলা চালায় তৃণমূল।” বর্ধমানের এসপি সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেছেন, “দু’দলের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ পেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|
গাঁজা রাখার অপরাধে এক ব্যক্তিকে আদালত পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিল। আদালত সূত্রে খবর, সাজাপ্রাপ্ত আসামির নাম উত্তমকুমার প্রামাণিক। মঙ্গলবার বর্ধমানের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক অজয়কুমার গুপ্ত এই নির্দেশ দেন। সরকার পক্ষের উকিল উদয় কোনার জানান, ২০১২ সালের ২৫ এপ্রিল বর্ধমানের কেষ্টপুরের বাসিন্দা উত্তমকুমারকে একটি চুরির মামলায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন জেরায় নিজের কাছে প্রায় তিন কিলোগ্রাম গাঁজা রাখার কথা স্বীকার করেন তিনি। পুলিশ সেই গাঁজা উদ্ধার করে। এরপরেই তাঁর বিরুদ্ধে বেআইনি মাদকদ্রব্য মজুতের ধারায় মামলা শুরু করে পুলিশ। |