খাদের কিনারে চতুষ্কোণ যুদ্ধ
ত বছর টলিউডের সব চেয়ে বড় যুদ্ধ ছিল, ‘চাঁদের পাহাড়’ বনাম ‘জাতিস্মর’।
শেষ পর্যন্ত এক পক্ষ পিছিয়ে আসায় রক্তক্ষয় হয়নি, তবে এ বার মনে হয় হবে।
নতুন বছরের সাত দিন কাটতে না কাটতেই অনেক বড় যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে টলিউড।
যুদ্ধের নাম ‘খাদ’ বনাম ‘চতুষ্কোণ’।
দুই প্রতিপক্ষ সেনাপতি, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় ও সৃজিত মুখোপাধ্যায়।
বাঙ্কারে বসে পুরো যুদ্ধের প্ল্যান করছে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির যুযুধান দুই শিবির ভেঙ্কটেশ ফিল্মস ও রিলায়্যান্স এন্টারটেনমেন্ট।
দামামা কিন্তু বেজে গেছে।

যুদ্ধের ব্যাকগ্রাউন্ড
ঘটনার সূত্রপাত সৃজিতের পরের ছবি ‘চতুষ্কোণ’কে নিয়ে।
প্রথমে এই ছবি করার কথা ছিল ঋতুপর্ণ ঘোষের। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পর হঠাৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে এই ছবি।
ঋতুপর্ণ-র পরিবর্তে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়কে রোলটা অফার করেন সৃজিত। কাউকে না জানিয়ে চুপি চুপি অপর্ণা সেনের বাড়িতে ঠিক হয়, ৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে শ্যুটিং।
এই প্রথম একসঙ্গে চারজন পরিচালক অভিনয় করবেন। অপর্ণা, কৌশিক, গৌতম ঘোষ এবং অঞ্জন দত্ত। কিন্তু ৩ ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সৃজিত। অনির্দিষ্টকালের জন্য বাতিল হয়ে যায় শ্যুটিং। তার আগেই প্রযোজক রিলায়্যান্সের সহ-প্রযোজক রানা সরকারের সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ায় ছবি থেকে বেরিয়ে যান অঞ্জন দত্ত।
ঝামেলা শুরু এর পর থেকেই।
টিম খাদ
আমার আর ডেট অ্যাডজাস্ট করা সম্ভব ছিল না
বহু দিন ধরে রিলায়্যান্সের তরফে কাউকে কিছু না জানানোর ফলে অধৈর্য হয়ে পড়েন অভিনেতা থেকে টেকনিশিয়ানেরা।
সৃজিতকে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় জানান তাঁর পক্ষে আর ছবিটা করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, জানুয়ারি থেকে তাঁর পরের ছবি ‘খাদ’ শুরু হবে।
“আমার খুব ইচ্ছে ছিল ‘চতুষ্কোণ’ করার। কিন্তু প্রায় দেড় মাস দেরি হওয়ায় আমার আর ডেট অ্যাডজাস্ট করা সম্ভব ছিল না। আমি সৃজিতকে সেটা বলি আর ও সেটা বোঝে,” ‘খাদ’য়ের রেকিতে সিকিম যাওয়ার আগে বলেন কৌশিক।
সৃজিতও একই কথা বলছেন, “হ্যাঁ, কৌশিকদা আমাকে ক্লিয়ার বলেছিল, ওর ডেটের প্রবলেম। নিজে বেরিয়ে যাওয়ার পর ওর রিপ্লেসমেন্ট কে হবে সেটা নিয়েও আমাকে হেল্প করেছিল কৌশিকদা,” বলছেন সৃজিত।
সৌজন্য বিনিময় এই অবধি ঠিক ছিল। এর পরেই শুরু হয় গোলাবর্ষণ।

‘দ্য আনকাইন্ডেস্ট কাট’
এত দিন ধরে টিম সৃজিত-য়ের অন্যতম দুই স্তম্ভ ছিলেন সিনেমাটোগ্রাফার সৌমিক হালদার ও এডিটর বোধাদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায়। এঁদের ছাড়া সৃজিতের ছবি কেউ ভাবতেও পারত না।
সেই সৌমিক ও বোধাদিত্য-ও সৃজিতের ‘চতুষ্কোণ’ ছেড়ে চলে আসেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘খাদ’ করতে।
শুরু হয় ফোনে কান্নাকাটি, শুরু হয় দোষারোপের পালা। হঠাৎ করে যেন পকেট থেকে অস্ত্র বার করে ফেলে সবাই।
সৌমিকের দলবদল নিয়ে বিস্তর মনোমালিন্য হয় সৃজিত আর সৌমিকের। তিক্ততা এতটাই বেড়ে যায় যে, ফেসবুকে সৌমিকের দলবদলের ঘটনাকে ‘দ্য আনকাইন্ডেস্ট কাট অব দেম অল’ বলে পোস্ট করেন সৃজিত।
আপাদমস্তক ভদ্র, মৃদুভাষী সৌমিক যে তলোয়ার চালাতে পারেন তা কে জানত? সেই মেজাজেই বলেন, “আমি দেড় মাস বসে ছিলাম। কেউ আমাকে সঠিক ডেট জানায়নি। আমাকেও তো আমার দিকটা দেখতে হবে। আমার তো এ ছাড়া কোনও জীবিকা নেই। আমি তো অনির্দিষ্টকালের জন্য অপেক্ষা করতে পারি না। তাই কৌশিকদার অফারটা নিয়ে নিলাম,” সাফ জানাচ্ছেন সৌমিক।
অন্য দিকে আরও আক্রমণাত্মক বোধাদিত্য। সৌমিক তলোয়ার চালালে, বোধাদিত্য বোমা ফাটাতেও পিছপা হচ্ছেন না।“আমার পক্ষেও সৃজিতের জন্য অপেক্ষা করা সম্ভব নয়। আর কী বলুন তো, আমরা কেউ ‘জাতিস্মর’য়ের লাস্ট ইন্সটলমেন্টের টাকা পাইনি। আমরা তো ওই ছবিটা সৃজিতের জন্য করেছিলাম। কিন্তু সৃজিত কি একবারও রিলায়্যান্সকে বলেছে আমাদের পেমেন্টটা ক্লিয়ার করতে? ও তো আমাদের দিকটা না দেখে শুধু নিজের দিকটা দেখল। এ রকম সময়ে শুধু লয়্যালটি দেখালে আমরা খাব কী?” হ্যান্ড গ্রেনেড ছোড়েন বোধাদিত্য।
টিম চতুষ্কোণ
সৌমিকের বদলে ‘ধুম থ্রি’র সুদীপ
যুদ্ধ এবং ক্ষোভের এই বাতাবরণে সৃজিতও কিন্তু থেমে থাকেননি। তিনিও আক্রমণ করে চলেছেন ক্রমাগত। সৌমিকের জায়গায় সৃজিত ও রিলায়্যান্স অ্যাপ্রোচ করেন ‘ধুম থ্রি’র বাঙালি ক্যামেরাম্যান সুদীপ চট্টোপাধ্যায়কে।
এর আগে সুদীপ ‘গুজারিশ’, ‘চক দে ইন্ডিয়া’র মতো ছবির ক্যামেরাম্যান ছিলেন। সেই ক্যামেরাম্যানকে নিজের ছবিতে এনে ‘টিম খাদ’কে জোর ধাক্কা দেন সৃজিত ও রিলায়্যান্স। এই খবরে এতটাই খুশি হয়ে পড়েন তারা যে টুইটারে রিলায়্যান্সের সহপ্রযোজক রানা সরকার এই বিষয়টা টুইটও করেন।
এটা ছিল রবিবার রাতের কথা।

এ বার ‘টিম কৌশিক’য়ে কমলেশ্বর
রোববার বিকেলের বোমা বর্ষণের উত্তর সোমবার সকালে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে থাকে ‘টিম খাদ’। সোমবার সকালে বিরাট কাউন্টার অ্যাটাকে ‘টিম চতুষ্কোণ’কে আবার বড় ধাক্কা দেয় ‘টিম খাদ’।
বিশ্বস্ত সূত্রে খবর, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় ডেটের জন্য ‘চতুষ্কোণ’য়ের রোলটা না করতে পারার পর সেই রোলটার জন্য ‘চাঁদের পাহাড়’য়ের পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়কে অ্যাপ্রোচ করেন সৃজিত।
কিন্তু সৃজিতকে ‘না’ বলে দেন কমলেশ্বর। সেই কমলেশ্বরই সোমবার সকালে ভেঙ্কটেশ ফিল্মস-এর অফিসে ‘খাদ’য়ের এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য ‘হ্যাঁ’ করে দেন কৌশিককে, প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতার সামনে।
এ ছাড়া আরও দলবদল হয়ে যায় ‘চতুষ্কোণ’ থেকে ‘খাদ’য়ে। অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী প্রথমে সম্মতি দিয়েছিলেন ‘চতুষ্কোণ’য়ে অভিনয় করার জন্য। কিন্তু পরে তিনিও ‘চতুষ্কোণ’ ছেড়ে যোগ দেন ‘খাদ’য়ে।
‘টিম চতুষ্কোণ’ও বসে থাকেনি। এ সবের মধ্যেই সোমবার বিকেলে আবার ‘টিম খাদ’য়ের ক্যান্টনমেন্টে হানা দেন সৃজিত। বোধাদিত্যর বদলে এডিটর হিসাবে তাঁরা তুলে নিলেন ‘চাঁদের পাহাড়’য়ের এডিটর রবিরঞ্জন মৈত্রকে।
“হ্যাঁ, বোধাদিত্যর বদলে আমরা রবিদাকে অ্যাপ্রোচ করেছিলাম। ‘চাঁদের পাহাড়’য়ের এডিটর এ বার ‘চতুষ্কোণ’ এডিট করবেন,” বেশ বুক বাজিয়ে বলেন রানা সরকার।

আমাদের পিঞ্চ হিটার প্রসেনজিৎ
রবিরঞ্জনকে তুলে নেওয়া নবতম স্ট্র্যাটেজি তো বটেই। কিন্তু তার আগে থেকেই বোঝা যাচ্ছিল যথেষ্ট অস্ত্র-শস্ত্র নিয়েই যুদ্ধে নেমেছে ‘টিম চতুষ্কোণ’।
তারা চিরঞ্জিতকে নিয়েছেন (যে খবর প্রথম ২৩ ডিসেম্বর আনন্দ plus-এই বেরোয়), এ ছাড়া তাঁরা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়কে একটা রোল অফার করে। ‘হেমলক সোসাইটি’র পর আবার পরমব্রতকে দেখা যাবে সৃজিতের ছবিতে। এ ছাড়া স্পেশাল অ্যাপিয়ারেন্সের জন্য প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কেও অ্যাপ্রোচ করেছেন সৃজিত। পুরনো কাস্টিংয়ের মধ্যে অপর্ণা সেন ও গৌতম ঘোষ তো রয়েছেনই।
রিলায়্যান্সের সহপ্রযোজক রানা সরকারের কথায়, “আমাদের ওপেনিংয়ে চিরঞ্জিত ও পরম। ফার্স্ট ডাউনে অপর্ণা সেন। টু ডাউনে গৌতম ঘোষ। পিঞ্চ হিটার হিসাবে থাকছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। উইকেট কিপার অনুপম রায়। আর বোলার হিসাবে ক্যামেরাম্যান সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। আমরা আমাদের টিম নিয়ে খুব খুশি,” বলছেন রানা সরকার।
টিম সৃজিত থেকে টিম কৌশিক

সৌমিক হালদার

বোধাদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রোডাকশন হাউজ ব্যবস্থা
নিলে এতগুলো লোক
ছেড়ে চলে আসত না।

শ্রীকান্ত মোহতা

কিছু টেকনিশিয়ান যে
এখান থেকে ওখানে গেছেন
সেটাই জানতাম না।

শিবাশিস সরকার
সৃজিত নয়, দোষ প্রোডাকশন হাউজের
অন্য দিকে ১৬ জনের টিম নিয়ে খুশি ‘টিম খাদ’ও। তাদের টিমে রয়েছেন পার্র্নো, গার্গী, তনুশ্রী, সাহেব ভট্টাচার্য, লিলি চক্রবর্তী, ভরত কল, কমলেশ্বর, পল্লবী চট্টোপাধ্যায়, মাসুদ আখতার-য়ের মতো বড় বড় নাম। একটা চরিত্রে অভিনয় করবেন পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় নিজে। স্ট্র্যাটেজিস্ট হিসাবে রয়েছেন সুরিন্দর ফিল্মসের নিসপাল সিংহ রানে ও শ্রীকান্ত মোহতা।
ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের কর্ণধার শ্রীকান্ত মোহতা অবশ্য বলছেন এরকম পরিস্থিতি তৈরি হত না যদি ‘চতুষ্কোণ’য়ের প্রযোজক আগে থেকে সতর্ক হতেন।
“ডিসেম্বরে ‘চতুষ্কোণ’য়ের শ্যুটিং শুরু হওয়ার তিন দিন আগেও কেউ অ্যাডভান্স পাননি। টেকনিশিয়ানদের পাকা কথা দেওয়া হয়নি। কবে শ্যুটিং শুরু হবে কেউ জানত না। এটা তো প্রোডাকশন হাউজের ব্যর্থতা। তারা যদি আগে থেকে সব ব্যবস্থা করত এতগুলো লোক তো ‘চতুষ্কোণ’ ছেড়ে আসত না। সৃজিতের নয়, দোষ প্রোডাকশন হাউজের,” সাফ বলছেন শ্রীকান্ত। বুঝতে অসুবিধা হয় না শ্রীকান্তের বন্দুকের নল তাক করা রয়েছে রিলায়্যান্স এন্টারটেনমেন্টের দিকে।
ওই সংস্থার তরফে শিবাশিস সরকার অবশ্য এ সব নিয়ে মাথাই ঘামাচ্ছেন না।
“কিছু টেকনিশিয়ান যে এখান থেকে ওখানে গেছেন সেটাই তো জানতাম না। আমার মনে হয় কলকাতায় যথেষ্ট টেকনিশিয়ান আছেন যাঁরা দারুণ কাজ করেন। সুতরাং সেটা নিয়ে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথাই না,” সাফ জবাব শিবাশিসের।
তিনি এটাও জানাচ্ছেন, দু’বছর আগে যখন তাঁরা সৃজিতকে সই করান, সেটা ছিল ‘চতুষ্কোণ’য়ের জন্যই।
“‘চতুষ্কোণ’য়ের জন্যই আমরা সৃজিতকে সই করিয়েছিলাম। তখন ‘মিশর রহস্য’ও হয়নি। তার পর ‘জাতিস্মর’ করলাম, কিন্তু ওটা ছিল রানা-র প্রোজেক্ট। আমাদের কাছে ‘চতুষ্কোণ’ হচ্ছে ড্রিম প্রোজেক্ট,” বলেন শিবাশিস।
অনেকে আবার ‘চতু্ষ্কোণ’য়ের শ্যুটিং শুরু হওয়ার তারিখ নিয়ে ভ্রু কোঁচকাচ্ছেন।
“সৃজিতের ‘জাতিস্মর’ রিলিজ করছে জানুয়ারির ১৭ তারিখ। ১৮ জানুয়ারি থেকে পরের ছবির শ্যুটিং। এটা কেন সৃজিত করছে জানি না,” বলছেন সৃজিতের সঙ্গে কাজ-করা এক অভিনেতা। অনেক যুদ্ধের মতোই উনি ‘ইনফর্মার’, নিজের নাম বলতে চান না।

আমার আর ডেট অ্যাডজাস্ট
করা সম্ভব ছিল না। আমি
সৃজিতকে সেটা বলি আর
ও সেটা বোঝে।
সৃজিত আমাদের দিকটা
না দেখে নিজের দিকটা
দেখল। শুধু লয়্যালটি
দেখালে খাব কী?

অনির্দিষ্টকালের জন্য অপেক্ষা
করা সম্ভব ছিল না। তাই
কৌশিকদার অফারটা
নিয়ে নিলাম।
সৌমিকের ছেড়ে যাওয়াটা
আমার কাছে খুব শকিং।
একটা বিচ্ছেদ
তো হয়েই গেল।

ছবিটা ডেডিকেট করব ঋতুপর্ণ ঘোষকে

অনেকের মতে রিলায়্যান্সের কাছ থেকে মোটা টাকার অগ্রিম নিয়ে নিয়েছেন বলেই, ‘জাতিস্মর’য়ের রিলিজের পরের দিনই শ্যুটিং শুরু করছেন সৃজিত।
সৃজিত অবশ্য পুরো ব্যাপারটাই অস্বীকার করছেন।
“দেখুন, এটা ঠিক নয়। আমি ‘চতুষ্কোণ’ ১৮ জানুয়ারি থেকে শুরু করছি শুধু দু’জনের জন্য। অপর্ণা সেন ও গৌতম ঘোষ। ওঁরা আমার জন্য নিজেদের ডেট অ্যাডজাস্ট করেছেন। গৌতমদা নিজের ছবির শ্যুটিং পিছিয়ে দিয়েছেন আমার জন্য। অসুস্থ থাকার সময় রিনাদি আমাকে বাড়িতে এসে পর্যন্ত দেখে গিয়েছেন। এ ছাড়াও একজন আছেন, যাঁর জন্য এই ছবিটা আমি করতে চাই। ‘অটোগ্রাফ’য়ের পর এই ছবির চিত্রনাট্য আমি তাঁকে প্রথম শুনিয়েছিলাম। তিনি ঋতুপর্ণ ঘোষ। আমি ছবিটা ওঁকেই ডেডিকেট করব। আই ও ইট টু দেম,” আইস্ড টি খেতে খেতে এক কফি শপে বলছিলেন সৃজিত। ‘চতুষ্কোণ’য়ে ক্যামেরাম্যান সুদীপ এবং সঙ্গীত পরিচালক হিসাবে অনুপম রায় থাকাতে খুবই সন্তুষ্ট সৃজিত।
কিন্তু পাশাপাশি তিনি এটাও স্বীকার করেন সৌমিকের ছেড়ে যাওয়াটা তাঁর কাছে খুব শকিং।
“দেখুন, সৌমিক আর আমি এই ছবিটা করতে পারছি না বলে আমার খারাপ লাগছে। পরে আবার হয়তো আমরা একসঙ্গে কাজ করব। কিন্তু একটা বিচ্ছেদ তো হয়েই গেল। আর এটাও লিখবেন যে, কৌশিকদা আর আমার মধ্যে কোনও যুদ্ধ নেই,” হাসতে হাসতে বলছেন সৃজিত।

আশা করব সৃজিত ভবিষ্যতে একটা দারুণ চরিত্র দেবে
আর ‘টিম খাদ’য়ের সেনাপতি কী বলছেন?
“আমার ভীষণ খারাপ লাগছে, আমি ‘চতুষ্কোণ’ করতে পারছি না বলে। সৃজিত আমাকে দুর্দান্ত একটা চরিত্র দিয়েছিল। এ ছাড়াও রিনাদি আর গৌতম ঘোষের সঙ্গে কাজ করাটাও আমার স্বপ্ন ছিল। ডিসেম্বরে শ্যুটিং হলে কোনও অসুবিধা ছিল না। কিন্তু আমাকে তো আমার ছবিটা শুরু করতে হবে। আশা করব সৃজিত ভবিষ্যতে একটা দারুণ চরিত্র দেবে,” বলছেন কৌশিক।
কৌশিক ও সৃজিত দু’জনে যতই পরিস্থিতিকে ‘সিজ ফায়ার’য়ের দিকে নিয়ে যান না কেন, টলিউড কিন্তু এই যুদ্ধকে খুব মন দিয়ে দেখছে।
মুখে যতই হ্যাপি ফ্যামিলির ছবি থাকুক না কেন, বুঝতে সবাই পারছে রিলিজের আগে অবধি ‘খাদ’য়ের ধার থেকে কিন্তু ‘চতুষ্কোণ’য়ে বোফর্স গানের গোলাগুলি চলবে। বাতালিক, টাইগার হিল, কার্গিল, টোলোলিংশুধু নামগুলোই যেন বদলে গেছে ২০১৪-র এই টলিউডি যুদ্ধে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.