রাস্তা ছাড়া নিয়ে এসডিপিও-এর সঙ্গে বচসা ও ধস্তাধস্তির অভিযোগে ব্লক স্তরের দুই ছাত্র পরিষদ নেতাকে গ্রেফতার করায় সোমবার সকাল থেকে উত্তেজনা ছড়ায় চাঁচলে। এসডিপি-এর বিরুদ্ধে ব্লক স্তরের দুই নেতাকে বিনা কারণে মারধর ও গ্রেফতারের অভিযোগে থানা ঘেরাও ও জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস ও ছাত্র পরিষদ। অভিযুক্ত দুই ছাত্রনেতাকে থানা থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ির সামনেই বসে পড়েন নেতারা। ফলে দু-ঘণ্টা গাড়ি আটকে থাকে। পরে মামলা লঘু করার আশ্বাস পেয়ে থানা থেকে অবরোধ ওঠে। তবে নেতাজি মোড়ে প্রায় ১ ঘণ্টা ৮১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ হয়। ধৃতদের চাঁচল মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়। দুজনেই জামিনে ছাড়া পান। |
মালদহ জেলা কংগ্রেস সভানেত্রী তথা উত্তর মালদহের সাংসদ মৌসম বেনজির নূরের অভিযোগ, “শামিমকে দলে টানার চেষ্টা করেও টিএমসিপি ব্যর্থ হয়েছে। মেরাজুল টিএমসিপি ছেড়ে ছাত্র পরিষদে যোগ দিয়েছে। তৃণমূল দুই ছাত্রনেতাকে ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছে। তাতে কাজ না হওয়ায় তৃণমূলের চাপেই পুলিশ দুই ছাত্রনেতাকে জেলে পাঠিয়ে আটকাতে চেয়েছিল। পুলিশ সুপারকে বলেছি যে ওরা সত্যি অপরাধ করেছে কি না তদন্ত করে দেখুন।” জেলা তৃণমূল সভানেত্রী তথা সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, “আমরা পুলিশের কাজে নাক গলাই না। আমাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে।” মালদহের পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, “এসডিপিও আমাকে জানিয়েছেন, যে তাকে দুই ছাত্র পরিষদ নেতা নিগ্রহ করায় তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। কংগ্রেস ও ছাত্র পরিষদের অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ তদন্ত করছে।”
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার রার ৯টা নাগাদ সামসি থেকে চাঁচলে ফিরছিলেন এসডিপিও পিনাকীরঞ্জন দাস। ঘটনাচক্রে, ওই রাস্তায় গাড়ির সামনে একটি বাইকে ছিলেন দুই ছাত্র নেতা শামিম আহসান ও মেরাজুল ইসলাম। শামিম জেলা পরিষদের কংগ্রেস সদস্যা রেহানা বিবির দাদা। এসএফআই ছেড়ে শামিম সম্প্রতি ছাত্র পরিষদে যোগ দিয়েছেন। এসএফআইয়ের চাঁচল কলেজের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। মেরাজুল টিএমসিপি ছেড়ে ছাত্র পরিষদে যোগ দেন। কংগ্রেস ও ছাত্র পরিষদের অভিযোগ, হর্ন শোনার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় না ছাড়ায় প্রথমে পুলিশের গাড়ির চালকের সঙ্গে বচসা হয় দুই ছাত্র নেতার। ওই সময় গাড়ি থেকে এসডিপিও নামলে তাঁকে নিগ্রহ করা হয় বলে পুলিশের অভিযোগ। সেই অভিযোগে এসডিপিও দুই ছাত্র নেতাকে মারধর করে গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে যান বলে অভিযোগ। ধৃত শামিমের দাবি, “এসডিপিওকে মারধরের অভিযোগ ভিত্তিহীন।” যোগাযোগের চেষ্টা করেও এসডিপিও বক্তব্য জানা যায়নি। ঘটনার জেরে এদিন সকাল ১০টা থেকে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু হয়। |