দলবদলের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তৃণমূলের নামে মিথ্যে দাবি করার অভিযোগে চাপে ফেলার চেষ্টা করল কংগ্রেস। কংগ্রেসের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেওয়া হল, রবিবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাদের দলে যোগদানকারীদের যে তালিকা দেওয়া হয়েছিল, ৬ জনের নাম জবরদস্তি রাখা হয়েছে। আদতে ওই ৬ জন পঞ্চায়েত সদস্য কংগ্রেসেই রয়েছেন। তৃণমূলের উপরে চাপ বাড়িয়েছে বামেরাও। সোমবার চম্পাসারি গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা এনে শেষ রক্ষা করতে পারেনি তৃণমূল। সেখানে বামেরা ১১-৯ ভোটে বোর্ড ধরে রাখতে পেরেছে। তৃণমূল কংগ্রেসে জেলা সভাপতি গৌতম দেব বলেন, “বিশদে খোঁজখবর নিতে হবে। তার পরেই যা বলার বলব।”
দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে মাটিগাড়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬ নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য, শরৎ রায়, জংলি বিন, প্রিয়াঙ্কা থাপা, অনিল ওঁরাও, কৌশল্যা রায় ও অরবিন্দ চৌধুরী ঘোষণা করেন, তাঁরা কংগ্রেসে রয়েছেন। তাঁদের অনুমতি ছাড়া তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব নাম ঘোষণা করেছেন। জেলা কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জীবন মজুমদারের অভিযোগ, “তৃণমূল যেভাবে দল ভাঙানোর চেষ্টা করছে তা নিন্দনীয়। আমরা ৬টি আসন নিয়ে এখন সংখ্যা গরিষ্ঠ। তৃণমূলের বিরুদ্ধে আমরা অনাস্থা আনব। যাঁর দল ছেড়েছে তাঁদের ক্ষমতা থাকলে পদত্যাগ করে তৃণমূলের টিকিটে জিতে আসুন।”
এ দিনই চম্পাসারি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের তরফে আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি হয়। গ্রাম পঞ্চায়েতে ২০ টি আসন রয়েছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তার মধ্যে ১০টি আসনে বামফ্রন্ট জয়ী হয়। বাকি আসনগুলির মধ্যে আদিবাসী বিকাশ বিকাশ পরিষদ, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস দল মিলিত ভাবে ১০টি আসনে জয়ী হয়। বোর্ড গড়ে বামফ্রন্টই। প্রধান নির্বাচিত হন ফরওয়ার্ড ব্লকের মণিকা সিংহ। এঁদের ১০ জনই তৃণমূলে যোগ দেন। ফ্রন্ট থেকে বেরিয়ে ফরওয়ার্ড ব্লকের এক জন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এর ফলে নতুন আসন বিন্যাস দাঁড়ায় তৃণমূলের ১১ ও বামফ্রন্টের ৯। তারই ভিত্তিতে সোমবার প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে তৃণমূল। কিন্তু তাঁদের মধ্যেই কেউ সমর্থন না করায় শেষ পর্যন্ত হেরে যেতে হল তৃণমূলকে। জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক অশোক ভট্টাচার্য বলেন, “অন্য দলের জয়ীদের দলে টানা তৃণমূলের বিশেষত্ব। সর্বদা জবরদখলের চেষ্টা সফল হয় না।” |