ঋণদাতাদের সঙ্গে বৈঠক অমিতের
পেট্রোকেমকে বকেয়া ঋণের টাকা
মেটাতে প্রতিশ্রুতি বিভিন্ন ব্যাঙ্কের
র্থিক সঙ্কটে জর্জরিত হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালসকে প্রতিশ্রুত ঋণের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়া নিয়ে কথা দিল বিভিন্ন ব্যাঙ্ক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, নতুন করে ঋণ দেওয়া নিয়ে শেষ বার কথা হওয়ার সময় সংস্থাকে মোট ৪০০ কোটি টাকা ধার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় ঋণদাতা ব্যাঙ্কগুলি। তার মধ্যে ৩৪০ কোটি ইতিমধ্যেই দিয়েছে তারা। সোমবার বৈঠকের পর বকেয়া ৬০ কোটি ধারও শীঘ্র মিলবে বলে আশাবাদী রাজ্য।
এ দিন সংস্থার ঋণদাতা ব্যাঙ্কগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিল্প তথা অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। শিল্প দফতরের দায়িত্ব নেওয়ার পর পেট্রোকেম নিয়ে এই প্রথম সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে বৈঠক করলেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন স্টেট ব্যাঙ্ক, আইডিবিআই ব্যাঙ্ক, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক, ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক-সহ নানা ঋণদাতা ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিরা। দেড় ঘণ্টার আলোচনা শেষে অমিতবাবু বলেন, “ইতিবাচক বৈঠক হয়েছে। ঋণদাতাদের কনসোর্টিয়ামের পক্ষ থেকেই দু’টি ব্যাঙ্ককে ঋণের বাকি টাকা মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। শিল্পোন্নয়ন নিগমের মাধ্যমে রাজ্য ইতিমধ্যেই পেট্রোকেমে ১০০ কোটি টাকা ঢেলেছে। সেই পদক্ষেপের প্রশংসা করেই ব্যাঙ্ক প্রতিনিধিরা আশ্বাস দেন, তাঁরা সংস্থার পাশে দাঁড়াতে আগ্রহী।” তবে এর ফলে ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হলেও, তার কোনও সময়সীমা নির্ধারিত হয়নি।
এর আগের বার পরিচালন পর্ষদের বৈঠকেও ব্যাঙ্কঋণের প্রসঙ্গ উঠেছিল। একই সঙ্গে উঠেছিল ব্যাঙ্কঋণকে শেয়ারে পরিণত করার প্রস্তাব। ডিসেম্বর মাসে আলোচনার সময়েও ব্যাঙ্ক প্রতিনিধিরা তাঁদের ঋণের একটা অংশ শেয়ারে পরিণত করার প্রস্তাব দেন। সেই প্রস্তাবে রাজি হওয়ার শর্ত হিসেবেই ব্যাঙ্কের কাছে নতুন ঋণ চেয়েছিল রাজ্য।
এর আগে ২০১২-এ বিআইএফআরে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচতে ১২৮ কোটির ঋণ শেয়ারে পরিণত করায় অনুমোদন দিয়েছিল পরিচালন পর্ষদ। কারণ, ঋণের সুদ গুনতেই ধারের সিংহভাগ টাকা খরচ হয়ে যায়। টান পড়ে কার্যকরী মূলধনে। ফলে ঋণের একটা অংশ শেয়ারে পরিণত হলে, যেমন তার উপর সুদ গুনতে হবে না, তেমনই বাড়বে মূলধনও। এ দিন অবশ্য ঋণের বাকি টাকা পাওয়া নিয়েই আলোচনা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে দাবি।
এ দিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, ক্রমশই খারাপ হচ্ছে পেট্রোকেমের আর্থিক স্বাস্থ্য। মাথার উপর বিআইএফআরে যাওয়ার খাঁড়া তো ঝুলছেই। তার উপর চূড়ান্ত অর্থাভাবে অর্ধেক উৎপাদন করছে কারখানা। আইনি জটিলতায় আটকে আইওসি-কে সংস্থার সরকারি শেয়ার বিক্রির প্রক্রিয়াও। এমনকী নতুন করে আইনি লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছে রাইটস শেয়ার বিক্রির পরিকল্পনা। ফলে শীঘ্রই নতুন পুঁজি না-ঢাললে, কারখানা সচল রাখাই দায়। এর আগে অনেক বারই নতুন করে ঋণ দেওয়ার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিল ব্যাঙ্কগুলি। অন্তত রাজ্যের হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি না-হওয়া পর্যন্ত আইনি জটে জর্জরিত এই সংস্থাকে নতুন করে ধার দিতে আপত্তি করেছিল তারা। তাই নতুন ঋণ না-পাওয়া গেলেও অন্তত প্রতিশ্রুত ধারের বকেয়াটুকু পাওয়াই এই মুহূর্তে সংস্থার পক্ষে সামান্য স্বস্তির।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.