বেশ কিছু দিন পরে কলকাতার বুকে একক ভাবে জনসমাবেশ করল বাম শরিক আরএসপি। দলের যুব সংগঠন আরওয়াইএফ-কে সামনে রেখে ‘অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধি ও ভয়ানক বেকারি’র প্রতিবাদে সোমবার ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে কলকাতা জেলারই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোক সমাগম হয়েছিল ভালই। যুব মঞ্চ থেকে আরএসপি-র রাজ্য সম্পাদক ক্ষিতি গোস্বামী আত্মসমালোচনার পাশাপাশিই তোপ দেগেছেন শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কে নাম নথিভুক্তির নতুন প্রক্রিয়া চালু করে শাসক দলের অনুগামী লোকজনকেই মাসিক বেকার ভাতা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ। নথিভুক্ত বেকারদের মধ্যে কেন শুধু এক লক্ষ কর্মহীনকেই বেছে নেওয়া হচ্ছে, সেই প্রশ্নও তোলেন ক্ষিতিবাবু। তাঁর কথায়, “আগে বলা হত, সিপিএম সরকারি টাকায় ক্যাডার-বাহিনী পুষছে! এখন কী হচ্ছে? রমরম করে দলতন্ত্র চলছে সর্বত্র!” বাইপাসের ধারে পঞ্চান্ন গ্রামে অগ্নিকাণ্ডের পরে পুনর্বাসনের দাবিতে আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছিলেন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষিতিবাবুর ক্ষোভ, “কলকাতা পুরসভা ওঁদের হাতে আছে প্রায় চার বছর। উনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন আড়াই বছর পেরিয়ে গেল। কিন্তু ওই মানুষগুলোর পুনর্বাসন আর দেওয়া হল না!”
প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ডাক দিতে গিয়ে ক্ষিতিবাবু এ দিন অতীতের ভুল থেকে শেখার কথা বলেছেন। তাঁর কথায়, “নিঃসন্দেহে বামফ্রন্টের কিছু অধঃপতন হয়েছিল। নিজেদের পায়েই কুড়ুল মারা হচ্ছে, এই কথাটা মন্ত্রিসভা এবং বামফ্রন্টে বলতে গিয়েছিলাম বলে আমাদের প্রায় অপরাধী বানিয়ে দেওয়া হয়েছিল! আক্রমণের মুখে পড়তে হতো। পরে দেখা গেল, সুতোর উপরে চলার সময়ে সাবধানতা হারিয়ে ফেলে গভীর জলে পড়ে গেলাম!” সন্তর্পণে এগোনোর পুরনো বাম শিক্ষাই এই সঙ্কটের সময় মেনে চলার কথা বলেছেন প্রবীণ এই নেতা। সমাবেশে ছিলেন অঞ্জনাভ দত্ত, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দলের যুব নেতৃত্ব। লোকসভা ভোটের আগে একক সমাবেশে সাড়া দেখে যথেষ্টই উজ্জীবিত আরএসপি নেতৃত্ব। |