বৃষ্টি আর কনকনে ঠান্ডা হাওয়ার মধ্যে রাস্তায় বের হয়ে বাস না পেয়ে চরম দুর্ভোগে পড়লেন বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার মানুষজন। ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে এ দিন বাস ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল বাস মালিকদের সংগঠনগুলি। কিন্তু নিতান্ত প্রয়োজনে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে যাঁরা বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন, তাঁদের কোথাও বাসের অপেক্ষায় হাপিত্যেস করতে হল, কোথাও বা ছোট গাড়িতে ঠাসাঠাসা করে গন্তব্যে রওনা দিলেন। প্রশাসন বাড়তি সরকারি বাস নামানোর দাবি করলেও, ভোগান্তি তাতে কমেনি। |
যাত্রীদের অভিযোগ, শালতোড়া ও মেজিয়া ব্লকে এ দিন বিকেল পর্যন্ত কোনও সরকারি বাস চলেনি। বাঁকুড়ার আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক দেবাশিস বৈদ্য বলেন, “জেলায় ১৫টি সরকারি বাস চালানো হয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় বাস কম থাকায় শালতোড়া ও মেজিয়া রুটে বিকেল পর্যন্ত বাস দেওয়া যায়নি।” জেলার অন্য ব্লকগুলিতে সংখ্যায় কম হলেও বাস চলাচল করেছে। বাঁকুড়ায় এ দিন ২.৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টির জেরে তাই দুর্ভোগ বেড়েছে যাত্রীদের। |
পুরুলিয়ায় এ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৮ ডিগ্রি সেলশিয়াসে। বৃষ্টি হয় ২ মিলিমিটার। ফলে রাস্তায় লোক চলাচল অন্য দিনের তুলনায় কম ছিল। ঝাঁটিপাহাড়ি যাওয়ার জন্য হুড়া নিমতলা মোড়ে বাসের অপেক্ষায় ছিলেন সুশীলা গোপ। তাঁর কথায়, “সকাল থেকে একটা সরকারি বাস দেখতে পাই। ভিড়ের জন্য উঠতেই পারলাম না।” শেষে একটা ম্যাটাডোরে তিনি গন্তব্যে রওনা দেন। |