“মধ্যমগ্রাম, কামদুনি নিয়ে সার্কাস দলের জোকার সেজে গিমিক তৈরি করতে চাইছে বিরোধী দল। সিপিএমের আমলে ধানতলা, বানতলা, সিঙ্গুরে তাপসী মালিকের মতো হত্যার ঘটনা ঘটেছে। অথচ তখন তো ওরা মুখে কুলুপ এঁটে বসে ছিল। কোনও সভ্য সমাজ এ ধরনের ঘটনাকে সমর্থন করে না, তৃণমূলও করে না।” এই ভাবেই কড়া ভাষায় বিরোধী দল সিপিএমকে আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সিঙ্গুর আন্দোলনের নেতা তথা রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী বেচারাম মান্না। সোমবার দুপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়-১ ব্লকের পাগলাহাট মাঠে ব্লক যুব তৃণমূলের ডাকে আগামী ৩০ জানুয়ারি বিগ্রেডের প্রস্তুতি সভায় এসে এ কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী। বেচারাম মান্না ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দমকল মন্ত্রী জাভেদ খান, তৃণমূলের জেলা সভাপতি চৌধুরী মোহন জাটুয়া প্রমুখ।
|
এ দিন কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘রেজ্জাক মোল্লা গলায় গামছা দিয়ে কৃষক দরদী সাজছেন। অথচ ওঁরাই সিঙ্গুরে চাষিদের জমি দখল করেছিল।” ইমাম-মোয়াজ্জেমদের ভাতা দেওয়া হচ্ছে বলে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সিপিএম কোর্টে মামলাও করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর সংযোজন, “মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মতো আড়াই বছরের উন্নয়নে ওঁদের এত লাফালাফি, পাঁচ বছর হলে কী করবে ওরা? তখন তো পাগল হয়ে যাবে।”
এ দিনের সভায় জাগুলগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্য শ্যামলী মণ্ডল, নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএমের শোভা গাইন, তাড়দহ গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্দল সদস্য আপচার মোল্লা ও রাধারানি নস্কর তৃণমূলে যোগ দেন। তৃণমূলের উন্নয়নে আকৃষ্ট হয়েই যোগ দিয়েছেন বলে জানান তাঁরা।
যদিও সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী বলেন, “ওই সমস্ত পঞ্চায়েত সদস্যদের উপর লাগাতার হুমকি এবং মারধর করায় ওঁরা ভয় পেয়ে বাধ্য হয়েই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।” |