হাসপাতালের হস্টেলের শৌচাগারে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল এক নার্সিং ছাত্রীর। সোমবার ভোরে কল্যাণীর গাঁধী মেমোরিয়াল হাসপাতালের নার্সিং কলেজের হস্টেলে ওই ঘটনা ঘটে। মৃত তরুণীর নাম মেঘশ্রী বিশ্বাস (১৯)। তাঁর বাড়ি নদিয়ার চাপড়ার দ’য়ের বাজারে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আত্মহত্যা করেছে ওই তরুণী। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে খবর, মাস চারেক আগে নার্সিং-এর ট্রেনিং নিতে ওই নার্সিং কলেজে প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছিলেন মেঘশ্রী। হস্টেলের দোতলায় তাঁর সঙ্গে আরও ২৭ জন সহপাঠী থাকতেন। এ দিন ভোরে তাঁর কয়েক জন সহপাঠী শৌচাগারে গিয়ে দেখেন দরজা ভেজানো রয়েছে। অনেক বার ডাকাডাকি করেও সাড়া না মেলায় তাঁরা দরজা ঠেলে ভিতরে ঢোকেন। তখনই সিলিং থেকে গলায় দড়ির ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় মেঘশ্রীর দেহ দেখতে পান তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা খবর দেন কর্তব্যরত মেট্রন আলপনা ভট্টাচার্যকে। তিনি পুলিশে খবর দেন।
হস্টেল সূত্রে জানানো হয়েছে, মেয়়ে গুরুতর অসুস্থ এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায়় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে জানিয়ে ঘটনার পরই খবর দেওয়া হয়। মেঘশ্রীর বাবা মুকুলবাবুকে। মুকুলবাবুর একটি ছোট বই-খাতার দোকান রয়েছে। খবর পেয়ে চলে আসেন তিনি। তিনি বলেন, “গতকালই মেয়ের সঙ্গে আমাদের ফোনে কথা হয়়। কোনওরকম অস্বাভাবিকতা বুঝতে পারিনি।” একই কথা জানিয়েছেন আলপনা দেবীও। তিনি বলেন, “কয়়েক মাস ধরেই মেঘশ্রীকে দেখছি। কখনও কোনও অস্বাভাবিক আচরণ দেখিনি ওঁর মধ্যে।”
অন্য দিকে, এ দিনই সকালে কল্যাণী টাউন ক্লাবে কল্যাণী মেলা কমিটির অস্থায়ী অফিস ঘর থেকে স্থানীয় এক চা বিক্রেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের নাম বদরুল মণ্ডল (২৭)। কল্যাণী শহর লাগোয়া উত্তর চাঁদামারির বাসিন্দা ওই যুবক টাউন ক্লাবেই থাকতেন। বদরুলের মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য দেখা দেয় এলাকায়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এটি খুন না আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। |