ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যু এড়াতে বনাঞ্চলের মধ্য দিয়ে যাতায়াতের সময় গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ। সোমবার শিলিগুড়ি জংশন স্টেশনে রেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও নতুন ‘কারশেড’-উদ্বোধন করতে এসে এ কথা জানান উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার আর এস ভিরডি। তিনি বলেন, “রেল লাইনে হাতির মৃত্যুর ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। এ ধরনের ঘটনা এড়াতে বনাঞ্চলের মধ্য দিয়ে ট্রেন চালানোর সময় গাড়ির গতি কমানোর কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে রেল লাইনের ধারে দেওয়াল দেওয়া, আন্ডার পাস তৈরির ব্যবস্থা করা যায় কি না তা ভাবা হচ্ছে। রাজ্য বন দফতর এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে।”
এ দিন শিলিগুড়ি জংশন স্টেশনে সুসংগত নিরাপত্তা ব্যবস্থার কনট্রোল রুমের উদ্বোধন করেন তিনি। স্টেশন ও চারপাশে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা, হ্যান্ড ডিটেক্টর, ডোর ডিটেক্টর, ব্যাগ স্ক্যানার চালু করা হয়েছে। ন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেলওয়ে পোর্টারস অ্যান্ড ভেন্ডরস সংগঠন ও কংগ্রেসের তরফে বিভিন্ন দাবি নিয়ে জেনারেল ম্যানেজারের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। তার মধ্যে দূরপাল্লার বেশ কিছু ট্রেনের স্টপ শিলিগুড়ি জংশন স্টেশনে দেওয়ার দাবি ছিল।
২০১০ সালের জুন মাসে তিন ধরিয়ার কাছে ধসে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে টয় ট্রেনের লাইন। কালিঝোরা কাছেও লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাতে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত টয় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শিলিগুড়ি থেকে রংটং এবং দার্জিলিং থেকে কার্শিয়াং পর্যন্ত টয় ট্রেন চালানো হচ্ছে। তিনধরিয়ার কাছে লাইনের অংশ মেরামত করা সম্ভব হয়েছে বলে এ দিন জেনারেল ম্যানেজার জানান। তিনি আশ্বাস দেন খুব শীঘ্রই শিলিগুড়ি থেকে তিনধরিয়া টয় ট্রেন চালু করা হবে। কার্শিয়াং থেকে মহানদী পর্যন্ত টয় ট্রেন চালাতেও তারা চেষ্টা করছেন। তবে পাগলাঝোরা এলাকায় রাস্তার অংশ পূর্ত দফতর থেকে মেরামতি না করায় তাঁরা কিছু করতে পারছেন না বলে দাবি করেন। |