পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগে চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত মহিলা কর্মীদের ৬০ বছর উত্তীর্ণ হতেই সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় নিজেরই দলের সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হলেন শ্রমিক নেতা তথা বিধানসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি মনে করেন ওই কাজ মানবিক নয়। শোভনদেব চান, সরকার তাঁদের অবসরকালীন আর্থিক সাহায্য দিক। যদিও রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়ে দিয়েছেন, চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত ওই কর্মীদের সে ভাবে টাকা দেওয়ার সুযোগ নেই।
সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায় বস্তি এলাকার নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিযুক্ত ষাটোর্ধ্ব মহিলাদের রাখা হবে না। কলকাতা পুরসভায় ২৪৮ জন কর্মীকে তাই ১ জানুয়ারি থেকে বসানো হয়। প্রতিবাদে সোমবার পুরসভার সামনে এক দিনের প্রতীকী অনশনও করেন তাঁরা। সেই অনুষ্ঠানে শোভনদেববাবু বলেন, “সরকার ওঁদের বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসুন। তা না হলে এর প্রতিবাদ জানিয়ে ফের ১০ জানুয়ারি থেকে রিলে অনশনে বসবেন ওঁরা।” তিনি চান, ওই কর্মীদের এক লক্ষ টাকা করে অবসরকালীন আর্থিক সাহায্য দিক সরকার। শোভনদেববাবু বলেন, “মমতা তো অনেক গরিবের জন্য করেন। এঁদের জন্যও বলব।”
পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (ববি) অবশ্য বলেন, “এ ধরনের কাজ কিছুটা সেবামূলক। ওই কাজে ঢোকার সময়েই তাঁদের বলা হয়েছিল। অবসরকালীন আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কোনও জায়গা নেই।” তাঁর বক্তব্য, “বয়স্করা চলে গেলে তরুণী কর্মীরা ওই কাজে যোগ দেবেন। শোভনদা হয়তো পুরোটা জানেন না। আসলে কিছু হলেই অনেকে ট্রেড ইনিয়নকে ধরে। এটা অভ্যাস। কেসটা ধরে নিলে মনে হয় ট্রেড ইউনিয়নের জয়। এটা ঠিক নয়।” পুর দফতরের এক অফিসারের বক্তব্য, “শুধুমাত্র পুরসভা নয়, ওই ধরনের কর্মী রাজ্যের অনেক প্রকল্পেই রয়েছেন। ৬০ বছরের পরে প্রত্যেককে এক লক্ষ করে টাকা দেওয়ার মতো আর্থিক অবস্থা সরকারের নেই। এটাও ভাবা দরকার।” |