বামেদের ডাকা নেলসন ম্যান্ডেলার স্মরণসভায় লোক হল না। মোহরকুঞ্জে এই সভা করা নিয়ে পুর কর্তৃপক্ষ আপত্তি তোলায় মৌলালির রামলীলা পার্কে তা স্থানান্তরিত হয়েছিল। তা নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। কিন্তু প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বিমান বসু-সহ বামফ্রন্ট নেতৃত্বের উপস্থিতি সত্ত্বেও সোমবারের স্মরণসভায় পার্কের অর্ধেকও ভরেনি। এ ঘটনায় বাম নেতৃত্ব বিব্রত। তাঁদের যুক্তি, বাস ধর্মঘটের কারণেই লোক কম হয়েছে।
স্মরণসভায় ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমানবাবু বলেন, “বাস ধর্মঘট চলছে। যাতায়াতের অসুবিধা। তার উপরে ঠান্ডা। জমায়েতেও তার ছাপ পড়েছে।” শেষ বক্তা ছিলেন বুদ্ধবাবু। বুদ্ধবাবুর বক্তব্যের সময় পাছে ভিড় পাতলা হয়ে যায়, তাই শরিক নেতাদের বক্তৃতা সংক্ষিপ্ত করতে বলেন বিমানবাবু।
সকলের মত, এই ধরনের সভায় বাসে লোক কম আসে। মিছিল বা ভাড়া গাড়িতেই আসে। কিন্তু সিপিএমের কলকাতা জেলার নেতারা পার্ক ভরানোর মতো লোকও সংগঠিত করতে পারেননি।
আরএসপির মনোজ ভট্টাচার্য বলেন, “বাস ধর্মঘট চলছে। আসার অসুবিধা। তবু একে অস্বীকার করে অনেকে এসেছেন।” বক্তৃতায় তিনি বলেন, “ম্যান্ডেলার মৃত্যুর এক মাস পরে স্মরণসভা হচ্ছে। ভিড় কমের কারণ সেটাও।” স্মরণসভা আয়োজনের দেরির জন্য তৃণমূল প্রশাসনকে দায়ী করে মনোজবাবু বলেন, “রাজ্যে যে আধিপত্যবাদী সরকার চলছে, তারা এর আগে স্মরণসভার অনুমতি দেয়নি। ম্যান্ডেলার মতো আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়তে হবে।” ফব-র রথীন চক্রবর্তী বলেন, “ম্যান্ডেলার লড়াই মনে রেখেই এর বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াই লড়তে হবে।” সভায় প্রস্তাব পাঠ করে বিমানবাবু বলেন, “ম্যান্ডেলা ২৭ বছর একই জেলে কাটিয়েছেন। তাঁর লড়াই থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।” প্রস্তাবের ভুল শুধরে দিয়ে সিপিআইয়ের ভানুব্রত দত্ত জানান, “এক নয়, তিন জায়গায় কারাবন্দি ছিলেন ম্যান্ডেলা।” |