দিন কয়েক ধরে টানা অভিযান চালিয়ে নদিয়ার নানা জায়গা থেকে আরও কিছু কম্পিউটার উদ্ধার করল কালনা মহকুমা পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া কম্পিউটারের সংখ্যা ৪০টি। এছাড়াও ৪০টি সিপিইউ, ৩টি প্রিন্টার ও ২টি প্রজেক্টরও উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে কৃষ্ণনগর, পায়রাডাঙা, রানাঘাট থেকে গত দু’দিনে উদ্ধার হয়েছে ১৬টি কম্পিউটার। এগুলি বেশিরভাগই সাইবার ক্যাফে-সহ নানা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে মিলেছে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, দুর্গাপুজোর আগে থেকে নদিয়ারই একটি চক্র রাজ্যের পাঁচ জেলার অজস্র স্কুল থেকে কম্পিউটার চুরি করছিল। মূলত চার জনের একটি দল অপারেশন চালাত। রক্ষী না থাকার সুযোগে স্কুলগুলি থেকে কম্পিউটার চুরি করে বস্তায় বেঁধে নিয়ে পালাত তারা। তারপরে চোরাই কম্পিউটার কিনত এরকম প্রতিষ্ঠানে বিক্রি করে দিত। নদিয়ার এক সাইবার ক্যাফের মালিক জেরায় পুলিশকে জানিয়েছেন, বিক্রেতারা তাকে জানিয়েছিল বন্ধ হয়ে যাওয়া সারদার নানা অফিসের কম্পিউটার এগুলি। তাই কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে। সোমবার কালনার এসডিপিও ইন্দ্রজিৎ সরকার জানান, দুষ্কৃতীরা নানা ভাবে প্রতারণা করে কম্পিউটার বিক্রি করত। আরও কিছু কম্পিউটার উদ্ধারের সম্ভাবনা রয়েছে। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে জেলার যে সমস্ত স্কুল থেকে কম্পিউটার খোওয়া গিয়েছে সেখানে জানানো হয়েছে থানায় এসে কম্পিউটার উদ্ধারের জন্য যোগাযোগ করতে।
ট্রাক্টর চুরি কালনায়। পেট্রোল পাম্প থেকে ট্রাক্টর চুরি করে পালাল দুষ্কৃতীরা। কালনা ১ ব্লকের ধাত্রীগ্রাম এলাকার ঘটনা। সোমবার বিষয়টি নিয়ে কালনা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই ট্রাক্টরের মালিক সইফুদ্দিন শেখ। মেমারির ইনাতনগরে বাড়ি হলেও বছর খানেক ধরে ধাত্রীগ্রামের তালতলায় বাস করতেন সইফুদ্দিন শেখ। বাড়িতে জায়গা কম থাকায় দিনভর চাষাবাদের পরে সন্ধ্যায় তাঁর ট্রাক্টরটি স্থানীয় একটি পেট্রোল পাম্পে রাখতেন তিনি। শুক্রবার সন্ধ্যায় সাড়ে আটটা নাগাদও ট্রাক্টরটি ওই পাম্পে রাখা হয়। শনিবার সকাল থেকেই সেটি আর দেখা যায়নি। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। |