ভাঙা রাস্তায় মোটরবাইক থেকে ছিটকে পড়ে মৃত্যু হল এক মহিলার। আহত হয়েছে তাঁর আট মাসের শিশুটিও। সোমবার সকালে কালনা শহর থেকে কিছুটা দূরে নন্দগ্রামের কালীতলার ঘটনা। মৃতার নাম নাজিমা বিবি (২২)। শিশুটিকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, নাজিমা বিবি এ দিন কালীনগর ঘাট পেরিয়ে কালনার পেয়ারিনগর গ্রামে আসেন। সেখান থেকে স্বামীর মোটরবাইকে মেয়েকে নিয়ে কালনা শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে নন্দগ্রামের কালীতলা এলাকায় খারাপ রাস্তায় ঝাঁকুনিতে মোটরবাইক থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। উল্টো দিক থেকে দ্রুতগতিতে আসা একটি গাড়ি তাকে পিষে দেয়। অল্পের জন্য বেঁচে যায় শিশুটি। ওই মহিলাকে ধাক্কা মারার পরে গাড়িটিও নিয়ন্ত্রণ হারায়। এরপরেই উত্তেজিত এলাকাবাসী রাস্তা সারানোর দাবিতে ঘণ্টা তিনেক অবরোধ করেন। প্রশাসনের তরফে রাস্তা সারানোর প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ ওঠে।
|
ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষা বিভাগের এক ছাত্রীর। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম কাজল ভট্টাচার্য (৩০)। বাংলা স্নাতকোত্তর বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন তিনি। বাড়ি বুদবুদ থানার মানকরে। রবিবার দুপুরে তিনি আসানসোল লোকালে চড়ে বর্ধমানে আসছিলেন। মানকর ও পারাজ স্টেশনের মাঝে তিনি ট্রেন থেকে পড়ে যান। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই ছাত্রীর। বর্ধমান জিআরপি তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
|
পাড়ার মোড় থেকে এক বৃদ্ধের থেঁতলানো দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। সোমবার সকালে কালনা শহরের বড়মিত্র পাড়ার ঘটনা। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম নিমাই চট্টোপাধ্যায় (৬২)। কালনা ১ ব্লক অফিসের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী তিনি। বাড়ি কাছেই ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁসরিপাড়া এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রোজ ভোরে হাঁটতে বেরোতেন নিমাইবাবু। এ দিনও চারটে নাগাদ বাড়ি থেকে বেরোন। ঘণ্টাখানেক পরে পথচলতি মানুষ দেখতে পান মুখের একটা অংশ থেঁতলানো অবস্থায় নিমাইবাবুর দেহ পড়ে রয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, কোনও গাড়ির ধাক্কায় ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
|
ভরা বিকেলে গলার হার ছিনিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। রবিবার রাতে কালনা শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ড অধিকারীপাড়ার বাসিন্দা বিজন মুখোপাধ্যায় পুলিশকে অভিযোগে জানান, এ দিন বিকেল ৩টে নাগাদ তাঁর স্ত্রী কৃষ্ণা মুখোপাধ্যায়ের গলা থেকে হার ছিনিয়ে পালায় মোটরবাইক আরোহী দুই যুবক। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। সোমবার রাত পর্যন্ত অবশ্য কেউ গ্রেফতার হয়নি।
|
জেলার ২৭৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আজ, মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে রাস্তা তৈরির কাজ। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকায় একটি পাকা রাস্তা ও চারটি কাঁচা রাস্তা তৈরির কাজ করা হবে। প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকাতেই আলাদা করে এই কাজের উদ্বোধন করা হবে। সেখানে জেলার মন্ত্রী ও প্রশাসনিক আধিকারিকেরা উপস্থিত থাকবেন। বর্ধমানের জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন সংবাদ মাধ্যমকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, এই প্রকল্পে জেলায় মোট ৮১৮.০২৯ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করা হবে। মোট রাস্তার সংখ্যা ১১৯৮। এর মধ্যে ৬৬০.০৪৯ কিলোমিটার হল মাটির রাস্তা। মোট রাস্তার মধ্যে মাটির রাস্তার সংখ্যা ৭৬৮টি। সৌমিত্রবাবু জানিয়েছেন, এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে গ্রামে প্রচুর শ্রমদিবস তৈরি হবে। গ্রামের লোকে কাজ পাবেন। যাঁরা রাস্তা তৈরি করবেন তারা প্রতি দিন ১৫১ টাকা করে মজুরি পাবেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন তৈরি হওয়া রাস্তাগুলি জেলার সমস্ত বড় রাস্তার সঙ্গে সংযোগ তৈরি করবে। প্রতিটি রাস্তাই হবে আট থেকে ন’ফুট চওড়া ও ৫০ থেকে ৮০০ মিটার লম্বা। প্রতি কিলোমিটার পাকা রাস্তার জন্য ৪০ লক্ষ টাকা ও প্রতি কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার জন্য আড়াই লক্ষ টাকা করে খরচ হবে। সমস্ত রাস্তা তৈরির সময়সীমা হল ৩১শে মার্চ।
|
পরিচয় মিলল পূর্বস্থলীর ভাণ্ডারটিকুরি এলাকায় খুন হওয়া যুবকের। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবকের নাম অনুপ হালদার (৩৫)। বাড়ি নবদ্বীপের প্রাচীন মায়াপুরে। মহকুমা পুলিশ প্রশাসন সূত্রে খবর, অনুপবাবুর পরিবারের লোকজন তাঁর দেহ শনাক্ত করেছেন। পুলিশ সূত্রের খবর, অনুপবাবু ধুপকাঠির ব্যবসা করতেন। ব্যবসার কারণে হুগলির জিরাট, বলাগড় এলাকাতেও যাতায়াত ছিল তাঁর। বাড়ি থেকে বিকেল চারটে নাগাদ বেরিয়ে রাত ১০টা নাগাদ ফিরতেন। তবে বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি তিনি। শুক্রবার সকালে রেললাইন থেকে কিছুটা দূরে তাঁর দেহ মেলে। অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবেই দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন করা হয়েছে ওই ব্যবসায়ীকে। পরে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া হয়।
|
গলার হার ছিনিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। রবিবার রাতে কালনা শহরের ১৮ নম্বর ওয়াডের্র বাসিন্দা বিজন মুখোপাধ্যায় পুলিশকে জানান, বিকেলে তাঁর স্ত্রী কৃষ্ণা মুখোপাধ্যায়ের গলা থেকে হার ছিনিয়ে পালায় দুই মোটরবাইক আরোহী যুবক । |