দুই দফায় ইন্টারভিউ নেওয়ার পর ৩টি মডেল স্কুলের শিক্ষক না মেলায় বিপাকে জেলা প্রশাসন ও শিক্ষা দফতর। সমস্যা মেটাতে তৃতীয় বার, আরেক দফায় শিক্ষকের খোঁজে ফের ইন্টারভিট ডাকা হচ্ছে। মালদহের জেলাশাসক শরদ দ্বিবেদি বলেন, “ওই তিনটি স্কুলের জন্য ফের ইন্টারভিউ ডাকার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।”
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহে ১৫টি ব্লকে মডেল স্কুল তৈরি হবে। মডেল স্কুলে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হবে। বর্তমানে জেলার মানিকচক, পুরাতন মালদহ ও কালিয়াচক ৩ ব্লকে তিনটি মডেল স্কুল গড়া হয়েছে। এর মধ্যেই ২ জানুয়ারি থেকে ওই তিনটি স্কুলে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি নেওয়া শুরু করেছে প্রশাসন। তাতে স্কুলে ৬০ জনের বেশি ছাত্র ভর্তি হয়েছে। সরকারের সিদ্ধান্ত, আপাতত অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষককে দিয়ে ওই মডেল স্কুলগুলি চালানো হবে। পরবর্তীতে পিএসসি মাধ্যমে স্থায়ী শিক্ষক স্কুলে নিয়োগ করা হবে।
প্রাথমিকভাবে তিনটি মডেল স্কুলে বাংলা, ইংরেজি, অঙ্ক, জীবনবিজ্ঞান, ভৌতবিজ্ঞান, ইতিহাস ও ভূগোল, এই সাতটি বিষয়ে পড়ানোর জন্য ৭ জন করে ২১ জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষককে প্রয়োজন। যাঁদের স্কুলে অস্থায়ী ভাবে নিয়োগ করা হবে তাঁদের বয়স ৬০ থেকে ৬২ বছর হতে হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা অনার্স-সহ স্নাতোকত্তের কোর্স ও বিএড বাধ্যতামূলক।
প্রশাসনের কয়েক জন অফিসার জানান, গত ২ ডিসেম্বর তিনটি স্কুলের শিক্ষক নিয়োগে ইন্টারভিউ ডাকা হয়। ৯ জনকে বাছাই করা হয়। বাকি ১২ পদে যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় ফের, শুক্রবার ৩ জানুয়ারি ইন্টারভিউ ডাকা হয়। এ দিকে যে ৯ জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষককে পাওয়া গিয়েছে তাঁদের চার জনকে মানিকচক মডেল স্কুলে, চার জনকে পুরাতন মালদহ ও এক জনকে কালিয়াচক ৩ ব্লকের মডেল স্কুলে পাঠানো হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ না করেই ভর্তি শুরু করায় জেলা প্রশাসন ও শিক্ষা দফতরের সমালোচনা করেছে হেডমাস্টার অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠন জেলা সম্পাদক চঞ্চল ঝা এই প্রসঙ্গে বলেন, “শিক্ষক নিয়োগ করে ছাত্র ভর্তি শুরু করলেই ভাল হত।” |